রাতারাতি খবর রটে যায়, ভারতের কোচের পদে আবেদন করেছিলেন বার্সেলোনা ও স্পেনের কিংবদন্তি জাভি হার্নান্দেজ। কিন্তু অত্যন্ত ব্যয়বহুল বিবেচনায় নাকি সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)।
এমন খবরে শুধু ভারতীয় ফুটবলে নয়, বিশ্ব ফুটবলেও আচমকা শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সত্যিই কি তাই? জানা যাচ্ছে, ভুয়া ইমেইল পেয়েছে ভারতীয় ফেডারেশন।
এর আগে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ভারতীয় দলের ফুটবল ডিরেক্টর সুব্রত পাল বলেছিলেন, “প্রার্থীদের তালিকায় জাভির নামও ছিল। আবেদনটি এআইএফএফ-কে ইমেইল করা হয়েছিল।” ওই প্রতিবেদনে এও বলা হয়, জাভি তার নিজের ইমেইল আইডি থেকে আবেদনটি পাঠিয়েছিলেন।
কিন্তু অন্যান্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত আবেদনের মতো, তার যোগাযোগ নম্বরের জায়গাটি খালি ছিল। পরে টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য বলেছিলেন, ‘জাভি আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। হয়তো তাকে রাজিও করানো যেত। কিন্তু তাকে জাতীয় দলের কোচ করে আনতে যে খরচ হবে, তা সামলানো কঠিন।’
যদিও বাস্তব ছবিটা অন্য। এখন জানা যাচ্ছে, জাভি আদৌ আবেদনই করেননি। ইতালির প্রখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে জাভির কোনও কথাই হয়নি।’ তাহলে এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত কোথা থেকে? জানা যাচ্ছে, জাভির নাম করে ফেডারেশনকে বোকা বানাতে ‘ভুয়া’ মেইল পাঠানো হয়েছে।
এর আগে এআইএফএফের কাছে ম্যানচেস্টার সিটি ম্যানেজার পেপ গার্দিওলার নামেও আবেদন জমা পড়েছিল। পরে জানা যায়, সেটি প্রতারণামূলক। এআইএফএফের কারিগরি কমিটি জানিয়েছে, ভারতের পুরুষ জাতীয় দলের প্রধান কোচের জন্য ১৭০টি আবেদন পর্যালোচনা করা হয়েছে, যেখান থেকে ১০ জনকে বাছাই করে অবশেষে ৩ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে, ভারতের বাইরের ফুটবল ভক্তরা বলতে শুরু করেছেন, জাভির নাম ব্যবহার করে এআইএফএফ নিজেদের ‘দাম’ বাড়িয়েছে। ঘটনা যাই হোক সমালোচনা থামছে না। এই ঘটনা ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের কিছুটা হলেও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে।
ইউটি/টিএ