রুট ও স্টোকসের শতকের উপর ভর করে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৬৬৯ রানের বিশাল পুঁজি পায়। এরপর ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ২ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে। তবে সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন কেএল রাহুল এবং শুভমান গিল।
ম্যানচেস্টারে চতুর্থ দিন শেষে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৭৪ রান। ক্রিজে রাহুল ৮৭ এবং গিল ৭৮ রানে অপরাজিত আছেন। তবে এখনও ইংল্যান্ডের চেয়ে ১৩৭ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা।
চতুর্থ দিনে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগেই ওপেনার জয়সওয়াল এবং সুদর্শনকে হারায় ভারত। তবে এরপর ভারতকে উদ্ধার করেন কেএল রাহুল এবং শুভমান গিল। ১৭৪ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটাকে অন্তত শেষ দিনে নেয়ার কাজটা করেছেন দুজন।
এর আগে ৭ উইকেটে ৫৪৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেছিলো ইংল্যান্ড। চতুর্থ দিনের শুরুতেই বুমরাহ ডসনকে ফেরান। তবে নবম উইকেটে ব্রেয়ডন কার্সের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন স্টোকস। এই জুটিতে যোগ হয় ৯৫ রান। ১১৪ টেস্টের ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৪১ রান করেন স্টোকস।
সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে ক্রিকেটের এক এলিট ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। মাত্র তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে ৭ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এই টেস্ট শুরুর আগে ২০৫ ইনিংসে ৬৮৯১ রানের মালিক ছিলেন স্টোকস। তার আগে শুধু জ্যাক ক্যালিস আর গ্যারি সোবার্সই এই এলিট ক্লাবে জায়গা করে নিতে পেরেছেন।
অর্ধশতকের পথে হাঁটছিলেন কার্সও। কিন্তু ৩ রান দূরে থাকতে জাদেজার শিকারে পরিণত হন তিনি। ৫৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ রান করেন কার্স। আর্চার ২ রানে অপরাজিত থাকেন।
জাদেজা ৪টি, বুমরাহ ও ওয়াশিংটন সুন্দর ২টি করে উইকেট শিকার করেন। ১টি করে উইকেট শিকার করেন আংশুল কাম্বোজ ও মোহাম্মদ সিরাজ।
এফপি/টিকে