৩ দিনের মধ্যে ঐকমত্যের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব: আলী রীয়াজ

আগামী তিন দিনের মধ্যে ঐকমত্যের কার্যক্রম সম্পন্ন করে চূড়ান্তে পৌঁছানো যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি। তিনি বলেছেন, আজ থেকে আগামী তিন দিনের মধ্যে আশা করছি, অনেকগুলো কাজ সম্পাদন করে আমরা প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করতে পারব বা চূড়ান্তে উপনীত হতে পারব। আপনারা (রাজনৈতিক দলগুলো) অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করছেন, আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। সেই চেষ্টায় অবশ্যই সফলতা আসবে। এই বিশ্বাস এবং আস্থা আমাদের রাখা দরকার।

রবিবার (২৭ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৯তম দিনের বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত আছেন। আজকের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে, পুলিশ কমিশন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ।

আলাদাভাবে মতামত এলে সেগুলো সংযোজন করে চূড়ান্ত সনদ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা খসড়া নিয়ে এখানে কোনো আলোচনা করব না। যদি বড় ধরনের কোনো মৌলিক আপত্তি ওঠে তাহলে আমরা সেটা ফ্লোরে আনব, না হলে আনব না। আলাদাভাবে যদি আপনারা কোনো মতামত দেন, সেগুলো সংযোজন করেই চূড়ান্ত সনদ হবে। সেখানে পটভূমি থাকবে, প্রক্রিয়া থাকবে এবং কমিটমেন্টের জায়গাগুলো থাকবে।

কিন্তু এখন প্রাথমিক পর্যায়ে যেগুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলোর তালিকা এখনই দেওয়া হচ্ছে না।

নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণে রাজনৈতিকদলগুলো একমত উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণবিষয়ক প্রস্তাবটি অনালোচিত ছিল। সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল যে, সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে এবং তৃতীয় ভাগে বর্ণিত যে অধিকারগুলোর বিষয়ে বলা হয়েছে, সেগুলো একটি অধ্যায়ে সন্নিবেশিত করে বিল অব রাইটসের মতো করে উপস্থাপন করা। সেই বিষয়ে তারা সুস্পষ্টভাবে কিছু কিছু পরামর্শ এবং সুপারিশ দিয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় দেখা গেছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, এ ব্যাপারে একমত হতে পারেননি।

রাজনৈতিক দলগুলো নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণের ব্যাপারে একমত কিন্তু কিভাবে সম্প্রসারণ করা হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।

পুলিশ কমিশনের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা একটি পুলিশ কমিশনের প্রস্তাব করেছি। ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে ১৬৬টা সুপারিশ আপনাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেগুলোতে পুলিশ কমিশনের ব্যাপারে সুপারিশ ছিল না। আমরা এখন একটি সংযুক্ত করছি সময়ক্ষেপণের জন্য নয়। এই আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে নাগরিকদের পক্ষ থেকে নানা জায়গা থেকে শুনেছি, যে পুলিশ কমিশনের বিষয়ে কেন আলোচনা হচ্ছে না। গত ১৬ বছরে পুলিশের ভূমিকার কারণেই এই প্রশ্নটা খুব বৈধভাবে উৎপন্ন হয়েছে। তাই এটি সংযুক্ত করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস আমরা সবকিছু নিয়ে একটি ঐকমত্য তৈরি করতে পারব।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
স্বামী ভিকি কৌশলের ফোনে হাত দেন না ক্যাটরিনা, জানালেন কারণ Jul 29, 2025
img
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানাল বাংলা‌দেশ Jul 29, 2025
img
১৫ বছরের বিরতির ঘোষণা গার্দিওলার, জানালেন কারণ Jul 29, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্রে ঐকমত্যের চেষ্টা চলছে: মাহফুজ আলম Jul 29, 2025
img
পৃথিবী থেকেই যেভাবে মহাকাশযানের ক্যামেরা মেরামত করলো নাসা Jul 29, 2025
img
বিজেপি ছেড়ে এবার মমতার দল থেকে ভোটে দাঁড়াবেন শ্রাবন্তী! Jul 29, 2025
img
অনেকের লেজ কাটা যাচ্ছে বলে আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন : উপদেষ্টা মাহফুজ Jul 29, 2025
আল্লাহ কেন আপনাকে কষ্ট দেয় | ইসলামিক জ্ঞান Jul 29, 2025
img
এই সরকারের পক্ষে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব নয় : জিল্লুর রহমান Jul 29, 2025
img
টিউশন ছেড়ে রাজনীতিতে, গুলশানে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই ভাই Jul 29, 2025
img
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দিন থেকেই ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছেন শেখ হাসিনা: গোলাম মাওলা রনি Jul 29, 2025
img
কুমিল্লায় নিজ বাসা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার Jul 29, 2025
img
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বনি আমিনকে ক্ষমা চাইতে বললেন মাহফুজের ভাই Jul 29, 2025
img
কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ থাই সেনাবাহিনীর Jul 29, 2025
img
কোল্ডপ্লে কনসার্টে ‘কিস ক্যামে’ এবার ধরা পড়লেন মেসি-রোকুজ্জো দম্পতি Jul 29, 2025
img
ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের কোনো ভূমিকা নেই: জয়শঙ্কর Jul 29, 2025
মন খুলে কথা বলার মতো একজনও ছিল না প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার Jul 29, 2025
img
গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় পিরোজপুরে গ্রেপ্তার ২ Jul 29, 2025
img
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ Jul 29, 2025
img
হাসিনার সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনায় টাকা লেনদেন, অভিযোগের কেন্দ্রে ওবায়দুল কাদের! Jul 29, 2025