মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফ্যাসিবাদমুক্ত মাতৃভূমিতে ফিরছেন ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের প্রথমসারির যোদ্ধা সিনিয়র সাংবাদিক এমদাদ হোসেন চৌধুরী দীপু। হাসিনার জমিদারী শাসন ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রবাসে থেকেও অনলাইন-অফলাইনে সবসময় সরব ছিলেন তিনি। হাসিনার বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়িয়েছেন জাতিসংঘ ভবনের সামনে, জনমত তৈরী করতে চালিয়ে গেছেন নানা তৎপরতা।
আওয়ামী রিজিমের বিরুদ্ধে অনলাইন প্রচারণাসহ নানামাত্রিক মননশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ রয়েছে তাঁর। এসব তৎপরতার কারণে আওয়ামী আমলের প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার চক্ষুশুলে পরিণত হয়েছিলেন সাংবাদিক দীপু। প্রবাসে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে কাজ করায় যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন সে তালিকায় তার নাম ছিলো গোয়েন্দাদের টপলিস্টে। একারণে দীর্ঘ প্রায় নয় বছর তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। তবুও ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে দেশমাতৃকার স্বাধীনতা রক্ষা, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে তিনি ছিলেন অটল, অবিচল। সুশাসন আর মানবিক বাংলাদেশের জন্য সোচ্চার ছিলেন সবসময়।
৫ আগস্টের বিপ্লবের পরও তিনি বসে নেই । আওয়ামীলীগকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য তিনি প্রকাশ করেছেন বড়দাগে আওয়ামীলীগ দুশাসনের তথ্য সম্বলিত বই “ইতিহাসের কাঠগড়ায় আওয়ামীলীগ “ যা দেশে-বিদেশে প্রশংসা কুডিয়েছে । বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ এবং ইসলামী মূল্যবোধের পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা এবং আওয়ামীলীগ ও তার দোসরদের অপরাধ-অপকর্ম তুলে ধরার জন্য তার গবেষণা ও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়ায় এবার জন্মভূমিতে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ফিরছেন সাংবাদিক এমদাদ হোসেন চৌধুরী দীপু। আগামী ৩০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের জেএফকে বিমানবন্দর থেকে তিনি রওয়ানা হবেন। ১ আগস্ট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করবেন। শুক্রবার ঢাকায় অবস্থান করে পরদিন শনিবার (২ আগস্ট) বেসরকারি ফ্লাইটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। সেখানে সহকর্মী সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাকে অভ্যর্থনা দেবেন।
দেশে অবস্থানকালে সাংবাদিক দীপু গণমাধ্যম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন।
দৈনিক সিলেট সুরমার সাবেক নির্বাহী সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী দীপু যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় চ্যানেল টিবিএন টোয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি সিলেটের আবাসন শিল্পের বড় প্রতিষ্ঠান আবাসন এসোসিয়েটের পরিচালক। দেশে কর্মকালীন তিনি টেলিভিশন চ্যানেল, পত্রিকাসহ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমে পেশাদারিত্ব ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে।
পিএ/টিএ