বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্সকে পেস আগুনে পুড়িয়ে ১৩১ রানে আটকে দিয়েছিলেন মুশফিক হাসান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিরা। অথচ নাইম শেখ, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের মতো ব্যাটার নিয়েও সেই রান তাড়া করতে পারেনি বাংলাদেশ টাইগার। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এইচপির কাছে ২২ রানে হেরেছেন আকবর আলীরা। ৩৩ বলে ৪৫ রান করে এইচপির জয়ের নায়ক বনে যান আরিফুল ইসলাম।
এ দিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে হাবিবুর ও ইফতেখার মিলে ভালো শুরুর চেষ্টা করেছিলেন। তাদের দুজনের ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মুশফিক হাসান। ইফতেখারকে ফেরান তিনি। একটু পর হাবিবুর সোহানের উইকেটও নেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে আরিফুল ও প্রিতম কুমার মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা কাজে আসেনি। ১১ রান করে পেসার রিপন মণ্ডলের বলে আউট হয়েছেন প্রিতম। আহরার আমিন, অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুনরা কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি। একপ্রান্ত অবশ্য আগলে রেখেছিলেন আরিফুল।
যদিও ডানহাতি ব্যাটারকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দেননি মুশফিক। ডানহাতি পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন আরিফুল। শেষের দিকে আর কোনো ব্যাটার রানের দেখা না পাওয়ায় ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩১ রান তোলে এইচপি। হাফ সেঞ্চুরির তেমন আফসোস নেই আরিফুলের। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন 'ইম্প্রোভাইজিং' সব শট খেলার পেছনের গল্পও।
আরিফুল বলেন, 'সত্যি বলতে, আমি এখন ক্রিকেটটা দেখি। ভালো অনেক ম্যাচ দেখি, আইপিএল দেখি, বিগ ব্যাশ দেখি, পিএসএল দেখি। প্লেয়ারদের যে জিনিসটা আমি দেখেছি বিগত কয়েকটা বছর, সবাই ইম্প্রোভাইজিং (উদ্ভাবনী) শট খেলে যে কারণে বোলারদের উপরে চাপটা বেশি থাকে।ঐদিক থেকে আমি চেষ্টা করি যে কিছু ইম্প্রোভাইজিং শট খেলার, যেন আমার খেলাটা ইজি হয়। এটা নিয়ে খুব বেশি অনুশীলন করা হয় নাই। সত্যি বলতে আমি প্র্যাকটিস করি নাই। মনে হয় যে এই বলটা এখানে পরলে খেলতে পারবো। চেষ্টা করি আরকি। আল্লাহর রহমতে হয়।'
'সত্যি বলতে আমি জানি না যে আমার কত রান তখন। আর দুই ওভার বাকি ছিলো। আমি চেষ্টা করছিলাম যে আমি যদি দুই ওভার খেলতে পারি, অবশ্যই যে আমাদের যে টিমের যে রানটা সবাই প্রত্যাশা করছিলো, ঐখানে যেতে পারব ইনশাল্লাহ। চেষ্টা করছিলাম ঐটাই। আমি আমার ব্যক্তিগত রানের দিকে তাকাইনি। লক্ষ্য ছিলো টিমের জন্য একটা ভালো সংগ্রহ যেন দিতে পারি।'
পিএ/এসএন