আজারবাইজান থেকে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ার গ্যাস আমদানি শুরু

আজারবাইজান থেকে গ্যাস আমদানি করছে সিরিয়া। এই গ্যাস তুরস্কের মধ্যদিয়ে পৌঁছাচ্ছে আলেপ্পো থার্মাল স্টেশনে। সেই গ্যাসে উৎপাদন শুরু হয়েছে ১৪ বছর ধরে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এতে চলমান বিদ্যুৎ সংকট কমবে বলে আশাবাদী সিরিয়ার নতুন সরকার।

দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে সিরিয়া। ধ্বংস হয়ে যায় শহর, শিল্প, অবকাঠামো ও আর্থিক খাত। বাস্তুচ্যুত হয় কোটি কোটি মানুষ। তবে ২০২৪ সালের শেষ দিকে আসাদ সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তী সরকার।

শুরু হয় সিরিয়া পুনর্গঠনের নতুন অধ্যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে পেতে শুরু করেছে দেশটি। আর এ পথেই বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে আজারবাইজান থেকে তুরস্কের মাধ্যমে গ্যাস আমদানিকে।

গত শনিবার (২ আগস্ট) গ্যাসের পাইপলাইন চালু হয়েছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে গ্যাস পৌঁছানোর পর ফের উৎপাদনে ফেরে হারজাল্লি ইউনিট। যা ১৪ বছর ধরে অচল ছিল।

সিরিয়ার জ্বালানি বিভাগ জানায়, এতে নতুন করে প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘণ্টা বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে। বর্তমানে শুধু এই ইউনিট থেকেই উৎপাদিত হচ্ছে ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর ফলে দৈনিক ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

চুক্তি অনুযায়ী, সিরিয়ায় বছরে ১.২ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করবে আজারবাইজান। এই গ্যাস যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগরের শাহ-দেনিজ গ্যাসক্ষেত্র থেকে, যেটি পরিচালনা করছে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম কোম্পানি।

গ্যাস পৌঁছাতে ব্যবহৃত হচ্ছে তুরস্কের আন্তঃদেশীয় পাইপলাইন। কিলিস শহরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আজারবাইজান, তুরস্ক, সিরিয়া ও কাতারের মন্ত্রীরা।

তুরস্ক একসময় সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিলেও, এখন যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে অন্যতম প্রধান মিত্র হয়ে উঠেছে। দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী আলপারসলান বাইরাকতার জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এর মাধ্যমে বন্ধ হয়ে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সম্মিলিত ১২০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতা পুনরায় সচল করা হবে।

এমকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মধ্যপ্রাচ্যে ৩ হাজার বছরের সংঘাত সমাধান করব : ট্রাম্প Oct 03, 2025
img
নিষেধাজ্ঞার আগমুহূর্তেও ইলিশের খোঁজে জেলেরা Oct 03, 2025
img
দেশের বাজারে আজ স্বর্ণের দাম Oct 03, 2025
img
শাপলা প্রতীক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন Oct 03, 2025
img
খুলনায় প্রতিমা বিসর্জনের বহরে বাস দুর্ঘটনা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ আহত ৫ Oct 03, 2025
img
ভেনেজুয়েলার উপকূলের নিকটে মার্কিন যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি Oct 03, 2025
img
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরল জিম্বাবুয়ে Oct 03, 2025
img
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দল না পেয়ে অন্য টুর্নামেন্টে চুক্তির মেয়াদ বাড়ালেন অশ্বিন Oct 03, 2025
img
সিলেটে ৩০ কেজি মাদকসহ ২ যুবক আটক Oct 03, 2025
img
দেশব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৯৮৩ Oct 03, 2025
img
ইইউ ইলেকশন এক্সপ্লোরেটরি মিশনের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বৈঠক Oct 03, 2025
img
বিশেষ অভিযানে মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ২৯ Oct 03, 2025
img
৯ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস Oct 03, 2025
img
১৪ বছর পর ভারত যাচ্ছেন লিওনেল মেসি Oct 03, 2025
img
বিএনপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না: বাবু খান Oct 03, 2025
img
বাড্ডা থানার নতুন ওসি হাবিবুর রহমান Oct 03, 2025
img
সংসার ভাঙায় স্বামীকে কোটি ডলার দিচ্ছেন নিকোল! Oct 03, 2025
img
এশিয়ান কাপ মিশনে আফিদাদের পাশে বাফুফে সভাপতি Oct 03, 2025
img
সুমুদ ফ্লোটিলার প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্রসংসদের র‍্যালি Oct 03, 2025
img
শহীদ আবরার আমাদের প্রেরণার বাতিঘর : ভিপি সাদিক Oct 03, 2025