গ্ল্যামারের ঝলমলে পর্দার আড়ালে কতটা কঠিন বাস্তবতা লুকিয়ে থাকে, তা আরও একবার সামনে আনলেন বলিউড অভিনেত্রী রাধিকা আপ্টে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলিউডের নির্মমতা আর হলিউডের মানবিকতার চিত্র একসঙ্গে ফুটিয়ে তুললেন তিনি।
রাধিকা জানান, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়ার পর যে আনন্দ বা সম্মান একজন নারী প্রত্যাশা করে, তা পাননি তিনি। বরং বলিউডের এক প্রযোজক সে খবর শুনে বিরক্তই হন। তার শারীরিক পরিবর্তন, যন্ত্রণা, সব সময় ক্ষুধার্ত থাকা—সব কিছুর পরও তাঁকে চাপা পোশাক পরতে বাধ্য করা হয়। এমনকি অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি। রাধিকার কথায়, "আমি ফুলে গিয়েছিলাম। শরীরে যন্ত্রণা ছিল। কিন্তু আমাকে কাজ করতেই হতো, কারও সহানুভূতি ছিল না।"
এই অভিজ্ঞতা বলিউডের। অথচ হলিউডে ছবি করার সময় পরিস্থিতি ছিল একেবারেই উল্টো। রাধিকা জানান, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানালে হলিউডের পরিচালক হাসিমুখে বলেন, "তুমি তো অন্তঃসত্ত্বা! কোনও অসুবিধা নেই।" এই একটি বাক্যেই তিনি পেয়েছিলেন সেই স্বীকৃতি ও সহানুভূতি, যা বলিউডে খুঁজে পাননি।
রাধিকার মতে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তিনি কোনও বাড়তি সুবিধা চাননি। শুধুই চেয়েছিলেন স্বাভাবিক সহানুভূতি ও সহযোগিতা। তিনি বলেন, "কাজের জগতে দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে আমি সব সময় সম্মান করে এসেছি। কিন্তু একটু দয়া ও সহানুভূতি কাজের জায়গাকে অনেক বেশি মানবিক করে তোলে।"
রাধিকার এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি আজকের বিনোদন জগতে নারী শিল্পীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও বড় প্রশ্ন তোলে। অন্তঃসত্ত্বা একজন নারী কি শুধুই দায়িত্ব, নাকি সম্মানেরও অধিকারী—এই প্রশ্নে নতুন করে আলো ফেললেন রাধিকা।
এসএন