পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ পানি-স্যানিটেশন-স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সেবার মানোন্নয়নে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
২০১৪ সালের আগস্ট থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদনক্রমে ডিএনসিসি ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে রাজধানীতে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ, সংস্কার, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী পাঁচ বছরের জন্য নতুন করে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।
সোমবার (১১ আগস্ট) নগর ভবনে ডিএনসিসির পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এসময় ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের নির্দেশনা ও অনুমোদনক্রমে উভয়পক্ষ পাবলিক টয়লেট ও ওয়াশ সেবায় যৌথভাবে আধুনিক ও টেকসই উদ্যোগ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়, সমঝোতা অনুযায়ী পাবলিক টয়লেট স্থাপন, সম্ভাব্যতা যাচাই, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, টয়লেট পরিচালনা নির্দেশিকা ২০১৮ সংশোধন ও হালনাগাদসহ ব্যবস্থাপনা কাঠামো আধুনিকায়নে উভয়পক্ষ কাজ করবে। পাশাপাশি বিদ্যমান ইজারা পদ্ধতি ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে তা আরও কার্যকর করা হবে।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিজ্ঞাপনদাতা ও অন্যান্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে পাবলিক টয়লেট পরিচালনার আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
এ ছাড়া মডেল পাবলিক টয়লেট ও রেটিং সিস্টেম চালু, নারীবান্ধব ‘পিঙ্ক টয়লেট’ ও নিম্ন আয়ের পুরুষদের জন্য ‘নীল টয়লেট’ ব্যবস্থাপনায় টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ব্যবহারবান্ধব মডেল প্রণয়ন করা হবে।
ডিএনসিসির নেতৃত্বে পাবলিক টয়লেট সেবাদাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি নেটওয়ার্ক গঠন এবং নিয়মিত জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এসব কার্যক্রমে সার্বিক কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দেবে।
এসএন