জনপ্রিয়তা কমেছে সরকার-বিএনপি-জামায়াতের, বেড়েছে এনসিপির : জরিপ

অন্তর্বর্তী সরকার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা কমলেও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমর্থন বেড়েছে৷ নতুন প্রকাশিত এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে৷

সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও জাতীয় আর্কাইভ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ডিআইজিডি পালস সার্ভে’- এর গবেষণাপত্র উন্মোচন অনুষ্ঠানে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয় ৷

ভয়েস ফর রিফর্ম ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইডিজিডি) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে৷

এ জরিপের মাধ্যমে নাগরিকদের মতামত ও অভিজ্ঞতা জানার চেষ্টা করা হয়েছে৷

জরিপে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রিয়তা কমেছে৷ আগস্ট ২০২৪-এ এই সরকারের প্রতি সমর্থন ছিল ৭৫ শতাংশ মানুষের ৷ অক্টোবরে তা কমে দাঁড়ায় ৬৮ শতাংশ ৷ জুলাই ২০২৫-এ তা আরও কমে দাঁড়ায় ৬৩ শতাংশে।

জরিপটি ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত হয়৷ এতে দেশের ৬৪ জেলার ৫,৪৮৯ জন নারী ও পুরুষ অংশ নেন ৷ তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম ছিল টেলিফোন৷

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ গ্রাম এবং ৩০ শতাংশ শহরের বাসিন্দা ৷ নারী ৪৭ শতাংশ ও পুরুষ ৫৩ শতাংশ ৷

আপনি কাকে ভোট দেবেন? এই প্রশ্নে বড় পরিবর্তন দেখা যায়৷ ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপিকে ভোট দেয়ার কথা বলেছিল ১৬.৩ শতাংশ মানুষ৷ জুলাই ২০২৫-এ তা কমে দাঁড়ায় ১২ শতাংশে৷ জামায়াতের সমর্থনও কমে ১১.৩ শতাংশ থেকে ১০.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২.৮ শতাংশে উঠেছে৷ জাতীয় পার্টি, ইসলামি দল এবং অন্যান্য দলের জনপ্রিয়তা কমেছে৷

সবচেয়ে বেশি মানুষ এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি -৪৮.৫ শতাংশ৷ আগের জরিপে এটি ছিল ৩৭.৬ শতাংশ৷ ভোট না দেয়ার কথা বলেছে ১.৭ শতাংশ৷ কেউ নাম বলেনি ১৪.৪ শতাংশ৷ ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে৷ ৫১ শতাংশ মানুষ চায় আগে সংস্কার হোক৷ ৩২ শতাংশ মানুষ চায় নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে হোক ৷ আপনার এলাকায় কে জিতবে?- প্রশ্নে ৩৮শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে বিএনপি, ১৩ শতাংশ জামায়াত, ৭ শতাংশ আওয়ামী লীগ, ১ শতাংশ এনসিপি৷ ২৯ শতাংশ জানে না, ৯ শতাংশ উত্তর দেয়নি ৷

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইজিডির ফেলো সৈয়দা সেলিনা আজিজ৷ তিনি বলেন, বর্তমানে সমস্যার ধরন বহুমাত্রিক৷ এই সমস্যায় অর্থনীতির একতরফা প্রভাব কমেছে।

পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img

ট্রাম্পের দাবি

ইরানের সঙ্গে এবার কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র Oct 10, 2025
img
দেশের অধিকাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়: মিয়া গোলাম পরওয়ার Oct 10, 2025
img
৪৯তম বিশেষ বিসিএস: লিখিতে উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা ২৬ অক্টোবর Oct 10, 2025
img
শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পাওয়া হল না ট্রাম্পের Oct 10, 2025
img
মানসিক রোগে আক্রান্ত দেশের ১৯%, চিকিৎসা সেবা সংকটে Oct 10, 2025
img

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ

২ পরিবর্তন নিয়ে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ Oct 10, 2025
img
স্পেনকে ন্যাটো থেকে বের করে দেওয়া উচিত: ট্রাম্প Oct 10, 2025
img
অভিশংসনে ক্ষমতা হারালেন পেরুর প্রেসিডেন্ট Oct 10, 2025
img
শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনিজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো Oct 10, 2025
img
চার দফা দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করছে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন Oct 10, 2025
রেকর্ড দুই দলের ব্যাটারদের, ধরাশায়ী ভারত Oct 10, 2025
আরাফাত রহমান কোকোর স্মরণে কর্পোরেট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট! Oct 10, 2025
অতীত ভুলে সামনের দিকে এগোতে চাহালের স্পষ্ট বা Oct 10, 2025
বন্ধ করে দেয়া হলো 'কেক পট্টি', অবৈধ ছিলো দোকানগুলো Oct 10, 2025
img
জুলাই সনদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি : রিজভী Oct 10, 2025
img
শিশু শান্তি ‘নোবেল’ পুরস্কারে মনোনীত সাতক্ষীরার সুদীপ্ত Oct 10, 2025
img
বড় ঘোষণা দিলেন জয়শঙ্কর Oct 10, 2025
img
শুরুর একাদশে খেলতে আগ্রহী জামাল, সঙ্গে শমিত-জায়ান Oct 10, 2025
img
ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে : দুদু Oct 10, 2025
img
জুলাই-আগস্টে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়লো ২০৪ মিলিয়ন ডলার Oct 10, 2025