চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ দলীয় নীতি ও আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের পর তার সব দলীয় পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে বর্তমান সহ-সভাপতি হাজী আব্দুল মান্নানকে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।
দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও দলীয় ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে কেন্দ্রীয় কমিটি এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি দেড়শ একর ভূমি দখল, পাথর কোয়ারির জমি ভাড়া দেওয়াসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ বহুদিন ধরে উঠছে। অভিযোগ রয়েছে, ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির পাশের সরকারি ২৭৫ একর উন্মুক্ত জায়গার অর্ধেকের বেশি অংশ তার দখলে ছিল। এসব জমি পাথর ভাঙার মেশিন মালিকদের কাছে ভাড়া দিয়ে বিপুল অর্থ আয় করা হতো।
গত ৫ আগস্ট আবারও ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর সাইট এলাকায় শতাধিক সরকারি জমি দখলের অভিযোগ ওঠে সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সেখান থেকে লাখ লাখ টাকা ভাড়া নেয়ার তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।
এর আগে গত ১৮ মার্চ সিলেট জেলা বিএনপি তাকে শোকজ নোটিশ দিয়েছিল। জেলা সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত নোটিশে সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। তবে গ্রহণযোগ্য জবাব না দেয়ায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা সাহাব উদ্দিনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে বারবার সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তারা তারেক রহমানের নির্দেশনায় শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলতেন।
অবশেষে সোমবার কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে সাহাব উদ্দিনকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে হাজী আব্দুল মান্নানকে নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিয়োগ দেয়া হয়।
পিএ/টিএ