সাক্ষীর নিরাপত্তা হুমকিতে ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসা একজন সাক্ষী নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ায় তাকে সুরক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১। একইসঙ্গে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পরে সাংবাদিকদের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, চানখারপুলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দুদিন আগে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন একজন। তিনি এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার দিনই তার বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর-অসম্মানজনক ও নিরাপত্তায় হুমকিস্বরূপ কার্যক্রম করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের কিছু ব্যক্তি। ব্যানার টানানোসহ সাক্ষীর বিরুদ্ধে মিছিলও করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত কিছু ছবি-ভিডিও প্রসিকিউশনকে দিয়েছেন ওই সাক্ষী।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষী সুরক্ষার আবেদন করা হয়। আবেদনটির ওপর আজ শুনানি হয়েছে। একইসঙ্গে সাক্ষীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন ট্রাইব্যুনাল। তার কাছে থাকা ছবি-ভিডিও দেখেছেন। শুনানি শেষে সাক্ষীর সুরক্ষায় আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আদেশে ওই সাক্ষীর সুরক্ষা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও কর্মরত প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানসহ আশপাশের এলাকায় তাকে নিয়ে কোনো ধরনের অবমাননাকর পোস্টার-ব্যানার থাকলে দ্রুত অপসারণ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। কমিটিকে অতি শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসিকিউটর তামিম বলেন, একজন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন কিংবা সাক্ষ্য দেবেন; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী এমন ব্যক্তির নিরাপত্তা বা সুরক্ষা দেখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আর এজন্য যেকোনো আদেশই দিতে পারবেন ট্রাইব্যুনাল। ওই আইনের বিধানমতেই আজ আবেদনটি করা হয়েছে।

এফপি/ এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামালপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪ Nov 26, 2025
img
রোববার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিপিএলের নিলাম, থাকছে ২৫০ বিদেশি Nov 26, 2025
img
১৬৬ উপজেলায় নতুন ইউএনও দিল সরকার Nov 26, 2025
img
ডা. মিলনের আত্মদানে হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত হয়েছিল: তারেক রহমান Nov 26, 2025
img
বায়ার্ন মিউনিখেই নিজের ভবিষ্যৎ দেখছেন হ্যারি কেইন Nov 26, 2025
img
তফসিল ঘোষণার পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হবে : সিইসি Nov 26, 2025
img
বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার বাস্তবায়ন হবে: খায়রুল কবির খোকন Nov 26, 2025
img
সুশান্তের মৃত্যুটা বোঝাই যায়নি কী হল: জয়া ভট্টাচার্য Nov 26, 2025
img
অজি স্বামীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ সেলিনা জেটলির Nov 26, 2025
img
দিতিপ্রিয়া সম্পর্কে ছোট, কখনওই তিক্ততা তৈরি হয়নি: অভ্রজিৎ চক্রবর্তী Nov 26, 2025
img
ফ্র্যাঞ্চাইজিরা টাকা না দিলে বিপিএলে দল পরিচালনা করবে বিসিবি Nov 26, 2025
img
কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন Nov 26, 2025
img
হাসিনাকে ফেরাতে বাংলাদেশের ‘অনুরোধ’ খতিয়ে দেখছে ভারত Nov 26, 2025
img
আগামীকাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ঘোষণা Nov 26, 2025
img
বিয়ে করলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ‘লিলিপুট’ ফারহান Nov 26, 2025
img
আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন ইস্যুতে বিএনপির আরও ২২ নেতার পদত্যাগ Nov 26, 2025
img
ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ পেল এনসিপির 'শাপলা কলি' প্রতীক Nov 26, 2025
img
থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, প্রাণ গেল অন্তত ১০ জনের Nov 26, 2025
img
টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাস গড়লেন সিকান্দার রাজা Nov 26, 2025
img
শেখ হাসিনার নামে পূবালী ব্যাংকের লকারে মিলল পাটের ব্যাগ Nov 26, 2025