মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের অযথা অধিদপ্তরে যাতায়াতে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রশাসনিক কাজের অজুহাতে শিক্ষক-কর্মচারীরা অধিদপ্তরে নিয়মিত আসায় শিক্ষার্থীরা পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সব ধরনের আবেদন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনলাইনে বা ডকেটে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল মান্নানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষক-কর্মচারীরা অধিদপ্তরে নিয়মিত আসছেন। এতে প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে এমপিওভুক্তকরণ, এমপিওভুক্ত মাদ্রাসায় বিশেষ বরাদ্দ, উচ্চতর স্কেল দেওয়া, পদোন্নতি, মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন, এমপিও শিটে নাম, পদবি ও বিষয় সংশোধন, জন্ম তারিখ সংশোধন, বকেয়া দেওয়া, প্রশিক্ষণে মনোনয়ন, ইনডেক্স দেওয়া বা কর্তনসহ যেকোনো কাজ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মাধ্যমে অনলাইনে বা সরাসরি ডকেটে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই অন্য ব্যক্তি বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
এছাড়া, প্রতিষ্ঠান প্রধান বা শিক্ষক-কর্মচারীদের অধিদপ্তরে আসার ক্ষেত্রে অবশ্যই ছুটি বা অনুমতিপত্র সঙ্গে আনতে হবে। শাখা কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, উল্লিখিত বিধি লঙ্ঘন করলে ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ১৮.১ (খ) ও (গ) অনুচ্ছেদ অনুসারে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট প্রধান ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএন