পাশাপাশি পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে থাকা বাবর আজমকে ফের দলে ফিরতে হলে খেলার ধরন ও স্ট্রাইক রেট উন্নত করতে হবে। সাম্প্রতিক সিরিজে কম পারফরম্যান্সের কারণে তাকে দলে রাখা হয়নি, এমন সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছেন মাইক হেসন। এছাড়া সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপেও বাবরের জায়গা হয়নি, যা বিষয়টি আরও স্পষ্ট করেছে।
এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ১২৮ টি-টোয়েন্টিতে ৩৯.৮৩ গড়ে ৪ হাজার ২২৩ রান করেছেন বাবর। ৩৬ হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে তিনটা সেঞ্চুরিও। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি রানের মালিকের স্ট্রাইক রেট ১২৯.২২। যার ফলে নিয়মিত রান করলেও স্ট্রাইক রেট নিয়ে লম্বা সময় ধরেই সমালোচনা শুনে আসছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এমনও অভিযোগ আছে যে বাবর দলের জন্য না খেলে নিজের জন্য খেলেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ খেলার পর থেকেই পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে নেই বাবর। পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ড সফর, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সিরিজ, বাংলাদেশ সফর এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি-টোয়েন্টি দলেও সুযোগ মেলেনি তাঁর। তবে ওয়ানডে দলে ছিলেন তিনি।
প্রথম ওয়ানডেতে ৪৭ রানের ইনিংস খেললেও পরের দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন বাবর। গুঞ্জন ছিল ফখর জামান চোটে পড়ায় এশিয়া কাপে সুযোগ মিলতে পারে তাঁর। যদিও শেষ পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি। চোট কাটিয়ে ফখর ফেরায় স্বাভাবিকভাবেই এশিয়া কাপে নেই ডানহাতি এই ব্যাটার। বাবরকে স্কোয়াডে না রাখার ব্যাখ্যায় হেসন জানান, স্পিনের বিপক্ষে তাকে আরও উন্নতি করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধান কোচ বলেন, ‘বাবর প্রথম ওয়ানডেতে ভালো খেলেছিল, তবে পরের দুই ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। কোনো সন্দেহ নেই যে বাবরকে কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি করার জন্য বলা হয়েছে, বিশেষ করে স্পিনের বিপক্ষে খেলার ধরন এবং স্ট্রাইক রেটের বিষয়ে। এগুলো নিয়ে সে খুব কঠোর পরিশ্রম করছে।’
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের টপ অর্ডারে খেলছেন ফখর ও সাইম আইয়ুুব। এ ছাড়া টপ অর্ডারে আছেন সাহিবজাদা ফারহানও। সুযোগ পেলেই সেটা কাজে লাগিয়ে নিজের জায়গা পোক্ত করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি দলে ফিরতে বিগ ব্যাশ বড় অবদান রাখতে পারে। বিগ ব্যাশের আগামী মৌসুমে সিডনি সিক্সার্সের হয়ে খেলবেন তিনি। হেসন জানান, বিগ ব্যাশে খেলে বাবরের উন্নতি দেখানোর সুযোগ রয়েছে।
হেসন বলেন, ‘এই মুহূর্তে যেসব খেলোয়াড় আমাদের দলে আছে, তারা দারুণ পারফর্ম করছে। সাহিবজাদা ফারহান মাত্র ছয় ম্যাচ খেলেই তিনবার ম্যাচসেরা হয়েছে। বাবরের মতো একজন খেলোয়াড়ের জন্য বিগ ব্যাশ লিগে খেলার এবং টি-টোয়েন্টিতে ওই জায়গাগুলোতে উন্নতি দেখানোর সুযোগ আছে। ও এত ভালো একজন খেলোয়াড় যে তাকে বিবেচনায় না নেয়া খুব কঠিন।’
ইউটি/টিএ