পুতিনের দাবির কাছে মাথা নত না করার জন্য ট্রাম্পকে আহ্বান জানাবে ইউরোপ

ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সাথে আলোচনা করবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সাথে থাকবেন ইউরোপীয় নেতারাও। সেখানে ইউরোপীয় নেতারা বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুতিনের দাবির কাছে নতি স্বীকার না করার জন্য অনুরোধ করবেন বলে জানা গেছে।                         

গত শুক্রবার ট্রাম্পের সাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পর সোমবার (১৮ আগস্ট) জেলেনস্কির সাথে ট্রাম্পের বৈঠক করার কথা।

আলাস্কায় শুক্রবার ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুদ্ধবিরতির জন্য ইউক্রেনের কাছে জমির ছাড় দাবি করেছিলেন পুতিন।

সোমবার ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারসহ ফরাসি, জার্মান, ইতালিয়ান, ইইউ এবং ন্যাটো নেতারা হোয়াইট হাউস পরিদর্শন করবেন।

শুক্রবারের বৈঠকের পর পুতিন ইউক্রেনের কাছে পুরো ডোনবাস অঞ্চল আত্মসমর্পণের দাবি জানান। যা পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক এলাকা নিয়ে গঠিত।

ট্রাম্প প্রশাসন জোর দিয়ে বলেছেন, খনিজ সমৃদ্ধ অঞ্চলটি নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন, উভয় পক্ষকেই আপস করতে হবে বলেও ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প।

এদিকে, রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, তাদের ইচ্ছা হল ইউরোপীয় এবং ইউক্রেনীয়দের মধ্যে একটি ঐক্যফ্রন্ট উপস্থাপন করা।

ম্যাক্রোঁ বলেন, যদি আমরা মস্কোর প্রতি দুর্বল হই, তাহলে আগামীতে সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সমগ্র অঞ্চলের আত্মসমর্পণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন, তবে তিনি সরাসরি পুতিনের সাথে আলোচনা করার বিষয়ে রাজি হয়েছেন। বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকের সময় যেকোনো আঞ্চলিক পরিবর্তন করা উচিত হবে।

ইউরোপীয় প্রতিনিধিদলের মধ্যে আছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন, এবং ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুট। তারা পুতিনের জেলেনস্কির পুরো ডোনবাস অঞ্চলটি আত্মসমর্পণের দাবির বিরুদ্ধে জোর দেবেন।

অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভলোদিমির জেলেনস্কি চাইলে রাশিয়ার যুদ্ধ এখনই শেষ করতে পারেন, তবে শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অক্টোবরের ১৩ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ১২৭ কোটি মার্কিন ডলার Oct 14, 2025
img
গোল করেও জয়ের স্বাদ না পাওয়ায় হতাশ রাকিব Oct 14, 2025
img
লাহোরে স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং, কঠিন লক্ষ্য প্রোটিয়াদের সামনে Oct 14, 2025
img
মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে ফিরে গেলেন শিক্ষকরা, রাতে সেখানেই অবস্থান Oct 14, 2025
img
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ১ লাখ ৩০ হাজার টন সার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত Oct 14, 2025
img
টানা বৃদ্ধিতে স্বর্ণের নতুন রেকর্ড, ভরিতে বাড়ল কত টাকা? Oct 14, 2025
img
৪৯তম বিশেষ বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা Oct 14, 2025
img
ক্ষমতায় গেলে গুম-খুনের শিকার পরিবারের দায়িত্ব নেব : এম এ মালেক Oct 14, 2025
img
নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে অনিশ্চয়তার দিকে যাবে দেশ: মাহবুবুর রহমান Oct 14, 2025
img
মাদাগাস্কারের ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী Oct 14, 2025
img
দুপুর ১২টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন না এলে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা Oct 14, 2025
img
লড়াই করে সমতায় মাঠ ছাড়লেও স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের Oct 14, 2025
img
নেপোটিজম বিতর্ক নিয়ে ‘ব্যঙ্গাত্মক’ জবাব সোনাক্ষীর Oct 14, 2025
img
আগামীর স্বপ্নপূরণে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Oct 14, 2025
img
রেমিট্যান্স না আসলে সরকারের টিকে থাকা মুশকিল ছিল: প্রধান উপদেষ্টা Oct 14, 2025
img
শিক্ষা উপদেষ্টাকে আইনি নোটিশ Oct 14, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের সুযোগ নেই : গোলাম পরওয়ার Oct 14, 2025
img
সরকারকে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের আহ্বান জামায়াতের Oct 14, 2025
img
শাপলা প্রতীক না পেলে নিবন্ধন নেবে না এনসিপি: সারোয়ার তুষার Oct 14, 2025
img
শাপলা পাব না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না : সারজিস Oct 14, 2025