ভোট জালিয়াতির অভিযোগ আনার পর মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন ও দেশটির লোকসভার প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। এবার জানা গেল প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে সংসদে ইমপিচমেন্ট বা অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ভাবছে বিরোধী শিবির।
সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের বাসভবনে বৈঠকে বসে ইন্ডিয়া ব্লকের সংসদ সদস্যরা। সেখানে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীপক্ষ।
এর আগে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধীকে হয় হলফনামা পেশ করার অথবা জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানায় ভারতের নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।
দিল্লিতে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে দেশের তিনজন নির্বাচন কমিশনার একযোগে অভিযোগ জানান, রাহুল গান্ধী যা করেছেন, তা 'সংবিধানের অবমাননা' ছাড়া কিছুই নয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে দেশের ভোটারদের নিশানা করতে নির্বাচন কমিশনকে একটি লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
নির্বাচন কমিশনের এ বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় কংগ্রেস। তাদের দাবি, কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার যে মন্তব্য করেছেন, তা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক। আর এই ধরনের মন্তব্য একজন সাংবিধানিক পদে বসে থাকা ব্যক্তির মুখে মানায় না। এরপরই বিরোধী সংসদরা খড়্গের বৈঠকে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের কথা বলেন। তবে পুরো বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন ও বিজেপি একযোগে ভোট কারচুপির চেষ্টা করছে। তিনি দাবি করেন, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে গত বছর এমন ঘটনা ঘটেছে ও এবার বিহারেও সেই পরিকল্পনা চলছে।
তবে নির্বাচন কমিশন এসব অভিযোগ নাকচ করে রাহুল গান্ধীকে প্রমাণসহ হলফনামা জমা দিতে বলেছে। কমিশন অভিযোগ করেছে, কংগ্রেস জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
সূত্র: এনডিটিভি
এমকে/টিকে