এইটি বিরল পিংক হীরা। যেটির মূল্য ২৫ মিলিয়ন ডলার। এমন বিরল হীরা চুরি হবার মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে দুবাই পুলিশ।
অপারেশন ‘পিংক ডায়মন্ড’-এর মাধ্যমে তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা এক বছরের বেশি সময় ধরে এই অপরাধের পরিকল্পনা করছিল। হীরাটি একটি শীর্ষস্থানীয় জেমোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সনদপ্রাপ্ত, যার বিশেষ খাঁটি মান রয়েছে এবং এটি প্রায় অদ্বিতীয় বলে বিবেচিত। এর অনুরূপ হীরার খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ০.০১%।
তদন্তে দেখা গেছে, সন্দেহভাজনরা হীরার মালিক, একজন জুয়েলার, চিহ্নিত করে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে একজন ধনী ক্রেতা হীরাটি ক্রয়ে আগ্রহী। বিশ্বাসযোগ্যতা দেখানোর জন্য তারা বিলাসবহুল গাড়ি ভাড়া নেয়, আপস্কেল হোটেলে বৈঠকের আয়োজন করে এবং এমনকি একজন খ্যাতিমান হীরা বিশেষজ্ঞকেও নিযুক্ত করে। জুয়েলার তাদের কর্মকাণ্ডে বিশ্বাসী হয়ে হীরা তার সুরক্ষিত দোকান থেকে বের করার জন্য সম্মতি দেন।
চক্রটি পরে ‘ক্রেতার’ সঙ্গে দেখা করার অজুহাতে জুয়েলারের কাছে একটি ভিলায় তাকে নিয়ে যায়। হীরা দেখানোর পর তা জব্দ করে তারা পালিয়ে যায়।
চুরির খবর পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে, দুবাই পুলিশ একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে। আধুনিক ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিআইডি বিভাগ তিনজন এশিয়ান সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত ও অবস্থান নির্ধারণ করে, যারা চুরির পর ছড়িয়ে পড়েছিল। একাধিক স্থানে সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতার করা হয় এবং হীরা উদ্ধার করা হয়। হীরাটি চুরির পর একটি ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়। মূলত, চক্রটি এশিয়ার কোনো দেশে পাঠানোর জন্য চেষ্টা করছিলো।
হীরাটি ফ্যান্সি ইনটেন্স শ্রেণির। এটির ওজন ২১.২৫ ক্যারেট, চমৎকার স্বচ্ছতা, সিমেট্রির জন্য খুবই বিরল। হীরার মালিক দুবাই পুলিশের দ্রুত প্রতিক্রিয়া ‘অদ্ভুত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, তাদের গতি ও পেশাদারিত্ব তাকে নিশ্চিত করেছে যে মামলা দ্রুত সমাধান হবে।
তিনি জানান, ৯৯৯ নম্বরে কল করার কয়েক মিনিটের মধ্যে একাধিক টহল পৌঁছায়, তদন্ত শুরু হয় এবং ক্রমাগত আশ্বাস প্রদান করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘পরেরদিন সকালেই পুলিশ জানিয়ে দেয় যে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং হীরা উদ্ধার হয়েছে।’
এফপি/ টিএ