বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০টি চাকা চুরি করে অন্য একটি বেসরকারি এয়ারলাইনসেকে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিমানের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোশারেফ হোসেন বিমানবন্দর থানায় জিডিটি করেন।
যদিও সরাসরি চুরি উল্লেখ না করে জিডিতে বলা হয়েছে চাকাগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জিডিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, চাকার সন্ধান না পাওয়ায় বিমানের ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার আরমান হোসেন ও স্টোর হেলপার সামসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা জানান, যথাযথ কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই দেশের একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার এক কর্মকর্তাকে এই ১০টি চাকা ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের এক কর্মকর্তা বলেন, একেকটি চাকার দাম ৫ থেকে ১৫ হাজার ডলার। এগুলো হ্যাঙ্গারের পাশে ‘অকশন শেডে’ রাখা ছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিমানের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ বি এম রওশন কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে যতটুক জানা গেছে, অকশনের জন্য যেসব পুরাতন চাকা থাকে সেগুলো অন্য একটি এয়ারলাইনসের চাকার সঙ্গে এক্সচেঞ্জ করা হয়েছে।
কিন্তু এটি এক্সচেঞ্জের কোনো পারমিশন ছিল না। স্টোরের দায়িত্বে থাকা দুজনের জড়িত থাকার কথা জানা গেছে। সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসলিমা আক্তার জানান, উড়োজাহাজের চাকার বিষয়ে বিমানের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছে। পুলিশ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সম্প্রতি বিমানের উড়োজাহাজগুলো কয়েকবার বিকল হয়। এসব ঘটনায় বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার মধ্যেই চাকা চুরির অভিযোগ সামনে এলো।