শেরপুরের নকলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটি থেকে একযোগে ১৫ জন নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারীদের মধ্যে পাঁচজন যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ১০ জন সদস্য।
মঙ্গলবার রাতে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে পদত্যাগকারী নেতা-কর্মীরা জানান, তাঁরা কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব বরাবর পৃথক পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। পদত্যাগপত্রে তারা নকলা উপজেলা সমন্বয় কমিটিকে ‘সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান’ করার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
পদত্যাগ করেছেন—যুগ্ম সমন্বয়কারী মমিনুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, রাশিদুল জামান ও জসীম উদ্দীন। সদস্য দেলোয়ার হোসেন, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর আলম, সোহাগ মোল্লা, আলামিন মিয়া, রতন মিয়া, নাজমুল হাসান, সুমন মিয়া, আরিফ মিয়া ও সাদেকুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির নকলা উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির একজন অযোগ্য, অনাদর্শিক ও সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। এ অবস্থায় আত্মবিশ্লেষণের পর আমরা স্বেচ্ছায় ও সম্মিলিতভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পদত্যাগকারী যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নকলায় যে কমিটি দেওয়া হয়েছে, সেখানে প্রধান সমন্বকারীকে নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। এছাড়া এনসিপির ত্যাগী নেতাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই এ কমিটি থেকে আমরা ১৫ জন পদত্যাগ করেছি। এসব পদত্যাগপত্র এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে এনসিপির শেরপুর জেলা কমিটির ১ নম্বর সমন্বয়কারী আলমগীর কবির বলেন, ‘পদত্যাগের বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি। এ নিয়ে বিভাগীয় কমিটির সাথেও কথা হয়েছে। আমরা জেলা কমিটি এ বিষয়ে বসবো। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
১০ আগস্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে নকলার হুমায়ুন কবিরকে প্রধান সমন্বয়কারী করে ৩২ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
এফপি/টিএ