মেট্রোরেলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চাইছে ডিটিসিএ

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) মেট্রোরেল পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিএমটিসিএল গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। সে সময় সিদ্ধান্ত হয়, মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ডিএমটিসিএল একটি সরকারি কোম্পানি হিসেবে কাজ করবে, আর তার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হবে ডিটিসিএ। পরবর্তীতে ডিটিসিএর অধীনে ম্যাস ট্রানজিট উইংও গঠিত হয়।

তবে ডিটিসিএর অভিযোগ, ডিএমটিসিএল এখন আর পূর্বের মতো তাদের কাছে রিপোর্ট দিচ্ছে না। বরং প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি সড়ক পরিবহন বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

ডিটিসিএর দাবি, মেট্রোরেলের যাত্রীদের বীমা, এমআরটি লাইনের নকশা অনুমোদন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি- এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা কার্যকর করছে না ডিএমটিসিএল। এমনকি কিছু চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শর্ত লঙ্ঘনও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি-৬ প্রকল্পে ডিপিপি প্রস্তুত, জাইকা পরামর্শক নিয়োগ, কোম্পানি নিবন্ধনসহ নানা প্রক্রিয়া ডিটিসিএ সম্পন্ন করেছিল বলে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সড়ক পরিবহন বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এহছানুল হককে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলম জানান, যেসব বিষয় নিয়ম অনুযায়ী ডিটিসিএর মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হয়, আমরা তা পাঠাই। তবে দৈনন্দিন পরিচালনাগত ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত আমরা সরাসরি মন্ত্রণালয়কে জানাই। ডিএমটিসিএল গঠনের সময়ই আমাদের সে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মেলবোর্নকে ১৫৭ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ Aug 21, 2025
img
প্রথম কাজেই প্রশাসনকে খোঁচা? আরিয়ানের সংলাপে উঠে এলো মাদককাণ্ড Aug 21, 2025
img
শাহরুখপুত্রের ওয়েব সিরিজে সালমান, রণবীর সিং ও করণ জোহর Aug 21, 2025
img
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর প্রথম সামরিক মহড়া ইরানের Aug 21, 2025
img
নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া অব্দি ভিসা ইস্যু করবে না যুক্তরাষ্ট্র Aug 21, 2025
img
এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি পৃথক বিভাগ গঠনের অধ্যাদেশ অনুমোদন Aug 21, 2025
img
সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩১১ Aug 21, 2025
img
আপনি সুন্দর স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি: শাকিব খান Aug 21, 2025
img
সাইদী ভালো মানুষ ছিলেন: সুখরঞ্জন বালি Aug 21, 2025
img
বিচার ও সংস্কার এড়িয়ে নির্বাচন দিলে কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র আসবে না: আখতার Aug 21, 2025
img
বিগত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি চুরি হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে : প্রেস সচিব Aug 21, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি ২৬ আগস্ট Aug 21, 2025
img
উমামার নেতৃত্বে ডাকসু নির্বাচনে ‌‌স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা Aug 21, 2025
img
গুলিবর্ষণের ঘটনায় মুখ খুললেন এলভিশ যাদবের পরিবার Aug 21, 2025
img
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আবার ‘সঠিক পথে’ ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : নিকি হ্যালি Aug 21, 2025
img
জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ Aug 21, 2025
img
বাংলাদেশি সন্দেহে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে মারধর Aug 21, 2025
img
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ইসির বৈঠক Aug 21, 2025
img
রোহিঙ্গা বিষয়ে সম্মেলনে অংশ নিতে কক্সবাজার যাবেন প্রধান উপদেষ্টা Aug 21, 2025
img
যদি উদ্দেশ্য হয় সস্তা নেগেটিভ মার্কেটিং তবে বলার কিছু নেই : পারশা Aug 21, 2025