ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্স। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে ড্যারেন ব্রাভোর গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, আর ওবেড ম্যাকয়ের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভর করেই আসে প্রোটিয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিটির জয়।
এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে ১ ওভারে ২ রান দিয়ে এক উইকেট শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৭ রান করে অ্যান্টিগা। জবাবে খেলতে নেমে ১৫৯ রানে থেমেছে ত্রিনবাগোর ইনিংস।
মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ শুরু পায় ত্রিনবাগো। তারা ওপেনিং জুটিতেই তোলে ৪৯ রান। এরপর হুট করেই ব্যাটিং ধস শুরু হয় দলটির। ১৯ রানের মধ্যে তারা হারায় ৩ উইকেট। এই ধাক্কা শেষ পর্যন্ত সামাল দিতে পারেনি দলটি। ত্রিনবাগোর হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ওপেনার কলিন মুনরো।
আর ২৮ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কাইরন পোলার্ড। এর বাইরে কেসি কার্টি ৩৫ রান করে। তবে তাদের এই রানও দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। সাকিব এদিন এক ওভার বোলিং করেছেন। মাত্র ২ রান দিয়ে ফিরিয়েছেন ড্যারেন ব্রাভোকে। সাকিবের বলে স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন ব্রাভো।
তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় লং অনে। সেখানে ক্যাচ নিয়েছেন অ্যালেন। অ্যান্টিগার হয়ে ওবেড ম্যাকয় একাই ৪ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন সাকিব ও রাকিম।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে অ্যান্টিগা। তারা ৫৫ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। ৯ রান করে আউট হন রাকিম কর্নওয়াল। এরপর উইকেটে থিতু হতে পারেননি কারিমা গোরে। তিনি ফিরেছেন ১০ রান করে। একপ্রান্ত এগলে রেখে খেলছিলেন ওপেনার জোয়েল অ্যান্ড্র্যু। তিনি ফিরে যান ২৫ বলে ২২ রান করে। এই ৩ উইকেটের মধ্যে দুটি উইকেটই তুলে নেন নাথান এডওয়ার্ডস।
আর একটি উইকেট নেন আকিল হোসাইন। দলের বিপর্যয়ের মুখে চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সাকিব। বেভন জ্যাকবসকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন তিনি। যদিও এই জুটি স্থায়ী হতে দেননি উসমান তারিক। ১১ বলে ৮ রান আসে বেভনের ব্যাট থেকে। উসমানের বলে তিনি ডিফেন্স করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন। এরপর অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিমকে নিয়ে দলকে টানার চেষ্টা করেন সাকিব।
নিজের খেলা তৃতীয় বলে রানের খাতা খোলা সাকিব এদিন ফিরেছেন ৩ বলে ৭ রান করে। উসমানকে শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি সুনীল নারিনকে ক্যাচ দেন। ফলে ৮০ রানের আগেই পঞ্চম উইকেট হারায় অ্যান্টিগা। সাকিব আউট হওয়ার পর উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন ফাবিয়েন অ্যালেন।
তিনি ইমাদকে নিয়ে গড়েন ৩০ বলে ৬৯ রানের ইনিংস। ৩টি করে চার ও ছয়ে অ্যালেনের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ঝড়ো ৪৫ রানের ইনিংস। মূলত এই জুটিতেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যান অ্যান্টিগা। ইমাদ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৩৯ রান করে। দুটি ছক্কা ও একটি চারে নিজের ইনিংস সাজান অ্যান্টিগা অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত ৫ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থেকে ইমাদকে সঙ্গ দিয়েছেন শামার স্পিঙ্গার।
ইএ/এসএন