মুক্তিযোদ্ধাদের ভেতরে যেন কোনো ফাটল না ধরে: রিতা

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভেতরে গ্রুপিং থাকলে আমাদের আর কোনো আশার জায়গা থাকবে না। আমরা তো আপনাদের কাছ থেকেই শিখব- কিভাবে দেশকে ভালোবাসতে হয়, কিভাবে নেতৃত্বের মাধ্যমে সংগঠিত থাকা যায় এবং সর্বোপরি কিভাবে দেশের জন্য কাজ করা যায়।

মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারাই আমাদের উৎসাহ দেবেন। এজন্য আমরা চাই আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যেন কোনো ফাটল না ধরে। আমরা যারা জিয়াউর রহমানের সৈনিক, আমরা যেন সবাই একত্রিত হয়ে এক ছাতার নিচে থাকতে পারি।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় মানিকগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আফরোজা খানম রিতা বলেন, একসঙ্গে কাজ করতে গেলে ছোটখাটো দ্বন্দ্ব মানুষের মধ্যে থাকতেই পারে। কিন্তু আমরা আপনাদের সন্তান হয়ে দাবি করছি- আপনারা সবাই বিভেদ ভুলে একত্রিত হয়ে যান। আমাদের ভেতরে যেন কোনো গ্রুপিং না থাকে। কারো ব্যক্তিগত কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে তা শুধরে নিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তবে দলের বিপক্ষে যে কাজ করছে, তাকে নিয়ে নয়। আমরা মানিকগঞ্জের জন্য এবং দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।

তিনি বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমরা এবং আমাদের নেতাকর্মীরা নানা প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে গিয়েছি। আমাদের ওপর অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম, হামলা-মামলা সবই করেছে তারা। মানিকগঞ্জ বিএনপির ঘাঁটি সারা বাংলাদেশ জানে, সেখানে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এই মুক্তিযোদ্ধা ভবনে বিএনপি সমর্থিতদের আসতে দেওয়া হয়নি। আমরা এখন সবাই এক ছাতার নিচে একত্রিত থাকব।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডাক্তার হায়দার আলী মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াসমিন খাতুন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য-সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান, সদস্য নুরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক নুরুল বাশার, মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য সচিব শহিদুল হকসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা।

কেএন/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৩৩০ গুণ বেতন পেয়ে চাকরি ছাড়েন কর্মী, আদালত দিলো তার পক্ষেই রায় Oct 10, 2025
img

ট্রাম্পের দাবি

ইরানের সঙ্গে এবার কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র Oct 10, 2025
img
দেশের অধিকাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়: মিয়া গোলাম পরওয়ার Oct 10, 2025
img
৪৯তম বিশেষ বিসিএস: লিখিতে উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা ২৬ অক্টোবর Oct 10, 2025
img
শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পাওয়া হল না ট্রাম্পের Oct 10, 2025
img
মানসিক রোগে আক্রান্ত দেশের ১৯%, চিকিৎসা সেবা সংকটে Oct 10, 2025
img

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ

২ পরিবর্তন নিয়ে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ Oct 10, 2025
img
স্পেনকে ন্যাটো থেকে বের করে দেওয়া উচিত: ট্রাম্প Oct 10, 2025
img
অভিশংসনে ক্ষমতা হারালেন পেরুর প্রেসিডেন্ট Oct 10, 2025
img
শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনিজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো Oct 10, 2025
img
চার দফা দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করছে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন Oct 10, 2025
রেকর্ড দুই দলের ব্যাটারদের, ধরাশায়ী ভারত Oct 10, 2025
আরাফাত রহমান কোকোর স্মরণে কর্পোরেট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট! Oct 10, 2025
অতীত ভুলে সামনের দিকে এগোতে চাহালের স্পষ্ট বা Oct 10, 2025
বন্ধ করে দেয়া হলো 'কেক পট্টি', অবৈধ ছিলো দোকানগুলো Oct 10, 2025
img
জুলাই সনদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি : রিজভী Oct 10, 2025
img
শিশু শান্তি ‘নোবেল’ পুরস্কারে মনোনীত সাতক্ষীরার সুদীপ্ত Oct 10, 2025
img
বড় ঘোষণা দিলেন জয়শঙ্কর Oct 10, 2025
img
শুরুর একাদশে খেলতে আগ্রহী জামাল, সঙ্গে শমিত-জায়ান Oct 10, 2025
img
ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে : দুদু Oct 10, 2025