চট্টগ্রামে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী কারারুদ্ধ সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ‘ছোট সাজ্জাদের’ স্ত্রী তামান্না শারমীন। রবিবার (২৪ আগস্ট) তিন দিনের রিমান্ড শেষের দিন তিনি এ কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ডাবল মার্ডারে টার্গেট ছিল সরোয়ার এবং তার ড্রাইভার। সরোয়ার আগেই গাড়ি থেকে নেমে যাওয়াতে বেঁচে যান। পূর্বের শত্রুতায় সরোয়ার তাদের টার্গেট ছিল। ডাবল মার্ডারে সাজ্জাদ, তামান্না ছাড়াও অন্য যারা ছিল, তাদের নামও বলেছে।
আরো কিছু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে সে। সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের আলোচিত বাকলিয়া এক্সেস রোডে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় এজাহার নামীয় ২ নম্বর আসামি তামান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালত তামান্নার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মো. জামালের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন নগরীর বায়েজিদ, অক্সিজেন, চান্দগাঁও এলাকায় ‘ছোট সাজ্জাদ’ বা ‘বুড়ির নাতি’ হিসেবে পরিচিত। সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে প্রকাশ্যে গুলি করে মাসুদ কায়সার ও মোহাম্মদ আনিসকে হত্যার অভিযোগ আছে। ২১ অক্টোবর প্রকাশ্যে দিবালো চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসীনকে গুলি করে হত্যা করে সাজ্জাদ। ২০২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে অক্সিজেন মোড়ে পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া।
তামান্নার স্বামী শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে গত ১৫ মার্চ রাজধানীর একটি অভিজাত শপিং মল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর তার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেয় স্ত্রী তামান্না। সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের প্রতিশোধ নিতে ২৯ মার্চ রাতে নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডে জোড়া খুনসহ কমপক্ষে তিনটি হত্যাকাণ্ড ঘটায় সাজ্জাদের সহযোগীরা। সেই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সাজ্জাদ এক নম্বর এবং তামান্না দুই নম্বর এজাহার নামীয় আসামি। ১০ মে তামান্নাকে গ্রেপ্তার করা হয় বহদ্দারহাট এলাকা থেকে। সে থেকে তামান্না শারমীন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
এসএন