দুই দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তারা টানা ৮ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৩টা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে 'নো ওয়ার্ক' কর্মসূচির আওতায় তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ সময় ভবনের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন রুটিন কাজে নিযুক্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। রাত ১১টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ রয়েছে। উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা অবরুদ্ধ রয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তারা আরও বলেন, আগামী ২৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় নির্বাচন কমিশন গঠন, ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রবিধি আইন আকারে অনুমোদন এবং সিন্ডিকেট সভার দিনেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এ ছাড়া, অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে দ্রুত সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তির চূড়ান্ত বাস্তবায়নেরও দাবি জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে একমত। তাদের দাবি যৌক্তিক। জকসুর নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে, তবে এখনও হাতে পাইনি। আশা করছি শিগগিরই হাতে পাব। অধ্যাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারব না। আর ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বিধি প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা আমার এখতিয়ারে না। সুতরাং এই দাবির লিখিত আমি দিতে পারি না। শিক্ষার্থীদের এটা বুঝতে হবে।
ইউটি/টিএ