নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী পদে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের পরীক্ষা গ্রহণসহ তিন দফা দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) মশাল মিছিল করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত এ মিছিলে শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এর আগে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, প্রকৌশল সেক্টরে বৈষম্য তৈরি করে ডিপ্লোমাধারীদের অযৌক্তিকভাবে কোটা প্রদানের সুযোগ রাখা যাবে না। সমাবেশে তারা তিনটি দাবি তুলে ধরেন—
প্রথমত, নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সবাইকে সমানভাবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। কোনো ধরনের কোটা বা সমমান পদ তৈরি করে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, দশম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের শতভাগ কোটা বাতিল করতে হবে। এ পদে ন্যূনতম যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হলেও, উচ্চতর যোগ্যতা সম্পন্ন বিএসসি বা এমএসসি ডিগ্রিধারীরা যেন আবেদন করতে পারে সেই সুযোগ রাখতে হবে।
তৃতীয়ত, বিএসসি ডিগ্রিধারী ছাড়া কেউ নামের আগে ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না। কেউ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
মশাল মিছিলে কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. বি. এম. ইকরামুল হক ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার উপস্থিত ছিলেন। তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, প্রকৌশল সেক্টরে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করতে এ আন্দোলন চলবে।ড. রবিউল ইসলাম সরকার শিক্ষার্থীদের আগাম আন্দোলনকে আরও সুসংগঠিত করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন ও আবু সায়েম বক্তব্য দেন।
সমাবেশ শেষে কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. বি. এম. ইকরামুল হক সমাপনী বক্তব্যে বলেন, আমরা এই আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করছি। ডিপ্লোমা কোটার অবসান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাতেই প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার আদায় সম্ভব।
ইউটি/টিএ