বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। সোমবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দলের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে দেড় থেকে দুই হাজার তরুণ-শ্রমিক শহীদ হয়েছেন। সেই আত্মদানকে ছোট করা বা হেয় করা কোনোভাবেই দায়িত্বশীল রাজনৈতিক আচরণ নয়। এতে গণঅভ্যুত্থানের ফ্রন্টলাইনে থাকা কর্মী ও সমর্থকরা আহত হয়েছেন।”
জাতীয় ইতিহাসের সংবেদনশীল ইস্যুতে রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করা হয় জানিয়ে সাইফুল হক আরও বলেন, “ব্যক্তিগত অবস্থান থাকতে পারে, তবে মুক্তিযুদ্ধসহ জাতীয় ইতিহাস নিয়ে এমন বক্তব্য দেওয়া ঠিক নয়, যা কাউকে আঘাত করে।”
ফজলুর রহমানের বাসার সামনে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমি অনলাইনে দেখেছি, তার গ্রেপ্তারের দাবিতে মানুষ সমবেত হয়েছেন। তবে দেশে আইন-আদালত রয়েছে। কেউ আহত হলে মামলা করার সুযোগ আছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্যই তো আন্দোলন হয়েছে। তাই আইনকে পাশ কাটিয়ে সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই অনুমোদনযোগ্য নয়। সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। যদি এটা অব্যাহত থাকে তবে সামাজিক নৈরাজ্য রাজনৈতিক নৈরাজ্যে রূপ নেবে, যা ভবিষ্যতে আরও বিভাজন, বৈরিতা ও সহিংসতা বাড়াবে।”
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন, “সহিংসতা চলতে থাকলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনও নতুন করে ঝুঁকির মুখে পড়বে। অভ্যুত্থানের অর্জন বিসর্জনের মুখে পড়বে। তখন ‘আম-ছালা দুটোই চলে যাবে।’”
সংযমের আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, “যারা সহিংসতার পেছনে কাজ করছেন তারা অবিলম্বে থামুন। আইনের আশ্রয় নিন। মতপ্রকাশের বিপরীতে পাল্টা মতপ্রকাশ হতে পারে, কিন্তু সহিংসতার পথে যাওয়া যাবে না। বাংলাদেশকে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়ার কোনো পদক্ষেপ দেশের জন্য বিপজ্জনক সংকেত।”
এসএস/এসএন