করাচি-লাহোরের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালুর ঘোষণা দিলো পাকিস্তান

পাকিস্তানের বড় দুই শহর করাচি ও লাহোরের মধ্যে উচ্চগতির বুলেট ট্রেন চালুর ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। ২০৩০ সালের মধ্যে এই ট্রেন চালু করবে পাকিস্তান রেলওয়ে।

এর ফলে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় এই দুটি শহরের মধ্যে যাতায়াতের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে। সোমবার (২৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তান রেলওয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে করাচি থেকে লাহোর পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এতে দুই প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে ভ্রমণের সময় বর্তমান ২০ ঘণ্টা থেকে কমে মাত্র ৫ ঘণ্টায় নেমে আসবে।

রাষ্ট্রীয় রেডিও পাকিস্তানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১ হাজার ২১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেললাইন এমএল-১ (মেইন লাইন-১) প্রকল্পের অংশ। ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্প করাচি-পেশোয়ার রেলপথ আধুনিকায়নের উদ্যোগের অংশ, যা চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) অন্যতম প্রধান অংশ।

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসী জানান, নতুন এই বুলেট ট্রেন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। এর প্রধান স্টপেজ থাকবে হায়দরাবাদ, মুলতান ও সাহিওয়ালে।

চীনের সহযোগিতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন করপোরেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ডুয়েল ট্র্যাক, নতুন করে নির্মিত সেতু এবং অত্যাধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে।

এছাড়া শুধু দ্রুত ও আরামদায়ক যাত্রী পরিবহনই নয়, এ হাইস্পিড রেলপথ পাকিস্তানের পণ্য পরিবহনের সক্ষমতাও বহুগুণ বাড়াবে। ২০৩০ সালের মধ্যে রেলপথে মালবাহী পরিবহনের হার ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০ শতাংশে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কর্মকর্তারা আরও আশা করছেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পরিচালনার সময় হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এছাড়া রেলপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বেড়ে গেলে ব্যয়বহুল সড়ক পরিবহনের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে এবং জ্বালানি আমদানি বাবদ পাকিস্তানের কয়েক বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে।

এফপি/ টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এক সপ্তাহ পর শাস্তি পেলেন ফখর জামান Dec 05, 2025
img
নার্সদের ‘ইবাদত হিসেবে সেবা’ করার আহ্বান জামায়াত আমিরের Dec 05, 2025
img
একটি দলের মূল ব্যক্তির সুস্থতার বিষয় আছে, সব দল প্রস্তুত হওয়ার পর তফসিল হোক : নাহিদ ইসলাম Dec 05, 2025
img
বার্ধক্যকে ভয় না পাওয়াই জীবনের সৌন্দর্য: মাধুরী দীক্ষিত Dec 05, 2025
img
হোয়াইট হাউসে বলরুম নির্মাণে নতুন স্থপতি নিয়োগ দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Dec 05, 2025
img
শরণার্থী-আশ্রয়প্রার্থীদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ কমাল যুক্তরাষ্ট্র Dec 05, 2025
img
নামাজ-কুরআন ও দ্বীনের আলোকে চলতে চাই: অভিনেত্রী মৌ খান Dec 05, 2025
img
ভারতমুখী নয়, দেশমুখী রাজনীতি প্রয়োজন : ডাকসু ভিপি Dec 05, 2025
img
বিদেশি নেতাদের সঙ্গে বিরোধীদের সাক্ষাৎ করতে দিচ্ছে না সরকার, অভিযোগ রাহুল গান্ধীর Dec 05, 2025
img
জাবিতে শেখ পরিবারের নামে থাকা ৪ হলের নাম পরিবর্তন Dec 05, 2025
img
এনসিপির ৫ নেতার বিরুদ্ধে নেত্রীর মামলা দায়ের Dec 05, 2025
img
দেশজুড়ে মুক্তি পাচ্ছে আলোচিত সিনেমা ‘খিলাড়ি’ Dec 05, 2025
img
বেগম জিয়ার অসুস্থতার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই: খসরু Dec 05, 2025
img
ঐতিহাসিক বৈশ্বিক ভূমিকা থেকে সরে আসবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র Dec 05, 2025
img
মিরপুর চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে বেরিয়ে গেল সিংহ Dec 05, 2025
img
শ্রমিকরা এলাকার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি : প্রিন্স Dec 05, 2025
img
পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের নতুন ঘোষণা Dec 05, 2025
img
গাজা পুনর্গঠনে ১০ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তা দেবে চীন Dec 05, 2025
img
কিসের টানে ঢাকা ছাড়লেন অভিনেত্রী পরীমণি? Dec 05, 2025
img
বিশ্বকাপে ফেভারিটদের তালিকায় মেসির চোখে নেই পর্তুগাল Dec 05, 2025