অমিতাভ বচ্চনের ‘জলসা’ হোক কিংবা শাহরুখ খানের ‘মান্নাত’, দাম-বিলাসিতার কারণে মুম্বাইয়ের এই দুই বাড়ি সব সময়ই চর্চায়। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না সাইফ আলী খানের ‘পতৌদি প্যালেস’ সব দিক থেকে বাকিদের পিছনে ফেলে দিতে পারে। বলিউডের বেশ কিছু হিন্দি সিরিজ, সিনেমা-সহ হলিউডেরও বেশ কিছু প্রজেক্টের শুটিং হয়েছে এখানে। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার নবাব ইফতিকর আলি খান পতৌদি এই প্যালেস বানিয়েছিলেন।
পরে উত্তরাধিকার সূত্রে এই প্যালেসের মালিকানা ভাগ হয় সাইফ আলী খান এবং সোহা আলী খানের মধ্যে। তাতে ভাই সাইফ আলী খানের তুলনায় অল্প মালিকানা বোন সোহার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাতৌদি প্যালেসে দুই কামরার একটি ‘অ্যাপার্টমেন্ট’ আছে। এই অংশ আগে ‘জেনারেটর রুম’ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
অভিনেত্রী বলেন, “আগে যেটা ‘জেনারেটর রুম’ ছিল, সেটাই আমার ভাগে। সৌভাগ্যবশত, খুব কম সময়ের জন্য সেখানে একটি হোটেল ছিল, সেই হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাদের পাতৌদি প্যালেসের দেখভাল করতেন। আমার বাবা-মা সেই জেনারেটর রুমে থাকতে শুরু করেছিলেন তখন।
আমার কিন্তু মনে হয়, এই সম্পত্তি বেশ ভালোই। এখন তো এটা আমার।”
কেন সাইফের ভাগে বেশি পরিমাণ সম্পত্তি? সেই প্রশ্ন কি ভাইকে কখনও করেছেন সোহা? উত্তরে বলেন, “মাথার মুকুট বা সিংহাসন, কোনোটাই আমার জীবনে প্রাসঙ্গিক নয়। আমাকে কখনও কিছু বলে দেওয়া হয়নি। বাড়ির ছেলে আগে দুধ খাবে, আর মেয়ে খাবার পরিবেশন করবে- এমন মানসিকতা আমাদের কারও ছিল না কখনও।
আমাকে এও কখনও বলা হয়নি যে, বাইরে যেও না, কালো হয়ে যাবে। অথবা মেয়ে হয়ে কী করা যাবে, কী করা যাবে না, এসব কিছুই বলা হয়নি কখনও।”
বাবা মনসুর আলী খান পাতৌদিকে নিয়ে সোহা আরও বলেন, “আমার বাবা খুব সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের। তার ভাবনাচিন্তা বরাবর প্রগতিশীল।”
উল্লেখ্য, পতৌদি হাউজের একমাত্র মালিক এখন সাইফ। এই বাড়ির একটি অংশ নতুন করে নিজের মতো করে গড়ে নিয়েছেন তিনি। পূর্বপুরুষদের অর্জিত কিছু বিষয় ও জিনিস এখানে সংরক্ষিত করা হবে।
ইএ/টিকে