চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক বিশ্বশক্তির মধ্যে সবচেয়ে স্থিতিশীল : শি

রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ‘বিশ্বশক্তির মধ্যে সবচেয়ে স্থিতিশীল, পরিপক্ব ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ বলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, রাশিয়ার সংসদের নিম্নকক্ষ বা ডুমার চেয়ারম্যান ভিয়াচেস্লাভ ভোলোদিনের সঙ্গে এক বৈঠকে শি দুই দেশের সম্পর্ককে ‘বিশ্ব শান্তির স্থিতিশীল উৎস’ অভিহিত করে প্রশংসা করেছেন।

শি বেইজিংয়ের বিলাসবহুল গ্রেট হল অব দ্য পিপলে ভোলোদিনকে বলেন, ‘উভয় পক্ষের উচিত তাদের দেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষা, গ্লোবাল সাউথকে ঐক্যবদ্ধ করা, প্রকৃত বহুপক্ষীয়তাবাদকে সমুন্নত রাখা এবং বৃহত্তর ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারের দিকে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা উন্নীত করার জন্য একযোগে কাজ করা।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেইজিং ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে। চীন কখনো এ যুদ্ধের নিন্দা করেনি বা মস্কোকে তার সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়নি এবং ইউক্রেনের অনেক মিত্র বিশ্বাস করে, বেইজিং তার উত্তরের বিশাল প্রতিবেশীকে সহায়তা প্রদান করেছে।

চীন তার পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলেছে, তারা একটি নিরপেক্ষ পক্ষ, তারা নিয়মিতভাবে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে এবং পশ্চিমাদেশগুলোর বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে সংঘাত দীর্ঘায়িত করার অভিযোগও করেছে।

এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সপ্তাহের শেষে চীন সফর করবেন।

তিনি ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলীয় নগরী তিয়ানজিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন, পাশাপাশি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন করবেন। শির সঙ্গেও বৈঠক করবেন পুতিন ।

এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, চলতি মাসের শুরুতে পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে শি বলেছেন, মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি দেখে চীন খুশি।

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে চলতি মাসে আলাস্কায় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ নেতা সাক্ষাৎ করেন, কিন্তু তখন থেকে শান্তি আলোচনার অগ্রগতি থমকে আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এমআর /এসএন   

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তিনি যা বানাচ্ছেন তা দেশে কেউ করেননি, অ্যাটলির প্রশংসায় রণবীর সিং Oct 20, 2025
img

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন

বিশেষ আদেশের ভিত্তি নিয়ে ভাবছে ঐকমত্য কমিশন Oct 20, 2025
img
এনসিপিকে কেন শাপলা দেওয়া যাবে না, নীলা ইসরাফিলের ব্যাখ্যা Oct 20, 2025
img
বিমানবন্দরের ঘটনায় পোশাক রপ্তানিকারকদের ১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা Oct 20, 2025
img
এবার জামায়াতের বিরুদ্ধে নাহিদের তোপ : মাসুদ কামাল Oct 20, 2025
img
চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে : বিএনপি Oct 20, 2025
img
জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদের খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে বংশাল থানা ঘেরাও Oct 20, 2025
img
চট্টগ্রামে মধ্যরাতে বহুতল ভবনে আগুন Oct 20, 2025
img
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না হলে ওই সনদ কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকবে : জুমা Oct 20, 2025
img
নিজের এক্স প্রোফাইল থেকে পিএসএল টিমের নাম মুছে ফেললেন রশিদ Oct 20, 2025
img
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক Oct 20, 2025
img
জুলাই সনদে যারা সই করেছে তারা এই দেশকে ধারণ করে না : হান্নান মাসউদ Oct 20, 2025
img
রিশাদকে নিয়ে নান্নুর মন্তব্যে Oct 19, 2025
img
তিনি যা বানাচ্ছেন তা কেউ কখনো করেননি : রণবীর সিং Oct 19, 2025
img
প্রয়োজন শেষে রূপ বদলালেন ড. ইউনূস : জিল্লুর রহমান Oct 19, 2025
img
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস Oct 19, 2025
img
চাকসুতে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণের সম্ভাব্য সময় বৃহস্পতিবার! Oct 19, 2025
img
৪৯তম বিশেষ বিসিএসের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১২১৯ জন Oct 19, 2025
img
জয়া আহসান এখন শুধু একটি নাম নয়, ব্র্যান্ড! Oct 19, 2025
img
যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল ৫১ জনের , আহত অন্তত ১৫০ Oct 19, 2025