জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, হাসিনা চলে যাওয়ার পর থেকেই যে কেউ, যেকোনো সময়, যেকোনোভাবে অন্যকে গালাগাল করতে পারছে। আর কেউ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না—পুলিশও না। পুলিশ যদি কোনো প্রতিবাদ করে তখন তাকেই স্বৈরাচারের দোষারোপ করা হচ্ছে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টক শো অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মাসুদ কামাল।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো তো ভিন্ন ভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে কাজ করে। তাদের রাজনীতিও ভিন্ন। ফলে আগের মতো ঐক্য থাকবে না—এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই পারস্পরিক বিরোধের যে প্রকাশভঙ্গি, যেভাবে তা প্রকাশ পাচ্ছে, তা অনেক সময় অশ্লীলতার পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, “গালাগাল করাটা একটা কালচার বা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত এক বছরে এই সংস্কৃতিকে বিভিন্নভাবে লালন করা হয়েছে। এটাকে বলা হয় ‘মব কালচার’। হাসিনা যাওয়ার পর থেকেই যে কেউ, যেকোনো সময়, যেকোনোভাবে অন্যকে গালাগাল করতে পারছে।
আর কেউ এর প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না—পুলিশও না। পুলিশ যদি প্রতিবাদ করে তখন তাদের স্বৈরাচারের দোষ দেওয়া হয়। আর স্বৈরাচার বলা হলে যদি কাউকে মারধরও করা হয়, কেউ তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসে না। এটা এখন সাধারণ চর্চা হয়ে গেছে এবং আমরা তা প্রতিদিন দেখছি।”
তিনি আরো বলেন, গালিগালাজ করাটা একটা কালচার বা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত এক বছরে এই সংস্কৃতিকে বিভিন্নভাবে লালন করা হয়েছে। এটাকে বলা হয় ‘মব কালচার’। হাসিনা যাওয়ার পর থেকেই যে কেউ, যেকোনো সময়, যেকোনোভাবে অন্যকে গালাগালি করতে পারছে। আর কেউ এর প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না—পুলিশও না। পুলিশ যদি প্রতিবাদ করে তখন তাদের স্বৈরাচারের দোষ দেওয়া হয়। আর স্বৈরাচার বলা হলে যদি কাউকে মারধরও করা হয়, কেউ তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসে না। এটা এখন সাধারণ চর্চা হয়ে গেছে এবং আমরা তা প্রতিদিন দেখছি।
মাসুদ কামাল বলেন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান সাহেবের বাসার সামনে কিছু ঘটনা ঘটেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে একজন নারী যেভাবে কথা বলেছেন, স্লোগান দিয়েছেন—সেই ভাষা আমরা উচ্চারণও করতে পারি না। কিন্তু তিনি খুব অবলীলায় এসব বলেছেন। এটাই নাকি ‘জেন জি’ স্টাইল, এটাই নাকি তাদের প্রতিবাদের ভাষা। তবে বিষয়টা আমাদের জন্য মেনে নেওয়া কঠিন।
এসএন