জিআই স্বীকৃতি পেল ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি

ফুলবাড়িয়ায় হাতে তৈরি ঐতিহ্যবাহী লাল চিনি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ওয়েবসাইট চেক করে ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি জিআই পণ্যের স্বীকৃতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নূর মোহাম্মদ জানান, ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি জিআই পণ্যের জন্য উপজেলা প্রশাসন গত বছরের ১১ জুলাই মাসে আবেদন করে। আবেদন নম্বর জিআই ৮৮। পণ্যের শ্রেণি ৩০। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৫৮।

তিনি বলেন, ‘ফুলবাড়িয়ার লাল চিনির বিষয়ে গত ২৭ মে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর থেকে জার্নালে প্রকাশ করা হয়।

আর কোনো পক্ষের দাবি আছে কি না, সে জন্য জার্নালটি প্রকাশ করা হলেও কারও দাবি না থাকায় সব প্রক্রিয়া শেষে আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি।সনদের জন্য আজ সরকার নির্ধারিত ফি জমা দিয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, হাতে তৈরি লাল ফুলবাড়িয়ার কৃষকের ব্যাপক একটি অর্থকারী ফসল। জি আই স্বীকৃতি পাওয়া এখন সারা দেশে লাল চিনি সর্ম্পকে জানবেন।

যে কারণে চাহিদা বাড়বে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও উৎপাদন বাড়াবে।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কৃষক আখের রস থেকে হাতে তৈরি করে লাল চিনি। দেশব্যাপী এর সুনাম রয়েছে। জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়া ফুলবাড়ির সর্বস্তরের মানুষ আনন্দি ও উচ্ছ্বাসিত।

পলাশতলী গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, লাল চিনি তৈরির একমাত্র কাঁচামাল আখ। জমি থেকে আখ সংগ্রহের পর তা পরিষ্কার করে যন্ত্রচালিত কলের সাহায্যে রস বের করা হয়। জ্বালঘরের চুলায় সাতটি লোহার কড়াই বসিয়ে প্রথমে কাঁচা রস জ্বাল দেওয়া হয়। ধাপে ধাপে কড়াই বদলে জ্বাল দিয়ে রস ঘন করা হয়। শেষে কাঠের মুগুর দিয়ে বারবার নাড়া দিয়ে তৈরি হয় অদানা বাদামি রঙের লাল চিনি। শুকনো ধুলার মতো বা গুটির মতো—দুই রকম আকারে এটি তৈরি হয়। পরে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। জমিতে চৈত্র মাসে আখ রোপণ করা হয়। পৌষ মাস থেকে শুরু হয় আখমাড়াই। আড়াই মাস ধরে চলে লাল চিনি তৈরির কাজ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, হাতে তৈরি লাল চিনি ফুলবাড়িয়ার একটি ঐতিহ্য। ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় মানুষ অনেক আনন্দিত, লাল চিনি কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক আবদান রাখবে। 

এমআর/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কলকাতার জ্যোতির্ময়ী এবার শাকিবের 'প্রিন্স' সিনেমায়! Dec 04, 2025
img
সাবেক সংসদ সদস্য শাওনের স্ত্রীর সোয়া ২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদে মামলা Dec 04, 2025
img
রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি পৌঁছালেন প্রেসিডেন্ট পুতিন, অংশ নেবেন নৈশভোজে Dec 04, 2025
img
অন্তঃসত্ত্বা এনসিপি নেত্রীকে লাথির অভিযোগে সহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা Dec 04, 2025
img
পুতিনকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানালেন মোদি Dec 04, 2025
img
বিমানে বাজে অভিজ্ঞতা, ভিডিও প্রকাশ করে ক্ষোভ প্রকাশ সংগীতশিল্পী আনুশকার Dec 04, 2025
img
নভেম্বরে আড়াই লাখ অবৈধ ব্যানার-পোস্টার সরাল ডিএনসিসি Dec 04, 2025
img
টেকনাফের উপকূলে ইঞ্জিন বিকল বোট থেকে ৪৫ যাত্রী উদ্ধার Dec 04, 2025
img
শামীম ইস্যু নিয়ে লিটনের মন্তব্য Dec 04, 2025
img
অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে রপ্তানিতে ধারাবাহিক উন্নতি, আয় দশমিক ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি Dec 04, 2025
img
মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি‌দের ভোট প্রদানে উদ্বুদ্ধ ক‌রে‌ছে হাইক‌মিশন Dec 04, 2025
img
সিগারেট কোম্পানির ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি Dec 04, 2025
img
খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না : রিজওয়ানা Dec 04, 2025
img
বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতা চাইলে সরকার সেটা করবে : আজাদ মজুমদার Dec 04, 2025
img
তফসিল ঘোষণায় আপত্তি নেই, যথাসময়ে নির্বাচন হোক : বিএনপি Dec 04, 2025
img
চূড়ান্ত হচ্ছে নির্বাচন ও গণভোটের দিনক্ষণ Dec 04, 2025
img
৩০০ আসনে প্রার্থী ঠিক করছে এনসিপি : সারজিস Dec 04, 2025
img
টি-টোয়েন্টিতে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন নারাইন Dec 04, 2025
img
৮ ডিসেম্বর খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চলতি মাসেই নির্বাচন Dec 04, 2025
img
ধর্মেন্দ্রর অস্থি বিসর্জনের সময় পাপারাজ্জিদের উপর মেজাজ হারালেন ছেলে সানি দেওল Dec 04, 2025