ছবি বিকৃতির মতো কাজ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: ছাত্রশিবির

ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ফেস্টুন ফেলে দেওয়া ও কয়েকজন প্রার্থীর ছবি বিকৃতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, “আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষ্যে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরই অংশ হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিন ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর ফেস্টুন ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং নারী প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থীর ছবি বিকৃত করা হয়েছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের স্বৈরাচারী আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

ছাত্রশিবির নেতারা আরও বলেন, “একজন হিজাব পরিহিতা নারী প্রার্থীর ছবি বিকৃত করে কুচক্রী মহল শুধু ব্যক্তি স্বাধীনতাই নয়, ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতিও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। এটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার পাশাপাশি নারী বিদ্বেষের জঘন্য প্রকাশ।”

বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, একটি গোষ্ঠীর প্রভাবিত কিছু গণমাধ্যম পরিকল্পিতভাবে প্রকৃত দোষীদের আড়াল করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। ছাত্রশিবিরের দাবি অতীতেও একই মহল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ ধ্বংস করেছে এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির সহযোগিতা করেছে।

নেতারা আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো ডাকসু নির্বাচন। এই নির্বাচন ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র চলছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন লালনকারী ঢাবি শিক্ষার্থীরা অতীতের মতোই ঐক্যবদ্ধভাবে সব অপশক্তির মোকাবিলা করবে এবং যোগ্য প্রার্থীকে প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করবে।”

সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে দ্রুত দোষীদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় ছাত্রশিবির। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ, নিরাপদ ক্যাম্পাস ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img

৮ কুকুরছানা হত্যার ঘটনায়

প্রাণীকে কষ্ট দেওয়ার আগে ভাববেন, তাদেরও জীবন আছে, ব্যথা আছে: পিয়া জান্নাতুল Dec 03, 2025
img
দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক হলো ধানের শীষ : সালাউদ্দিন আহমদ Dec 03, 2025
img
অপর্ণা সেনের মেয়ে কঙ্কনার প্রশংসায় পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় Dec 03, 2025
img
যমুনা অভিমুখে বিক্ষোভ আগামীকাল, মশাল মিছিল শুক্রবার Dec 03, 2025
img
তিন দফা দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ Dec 03, 2025
img
পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে সামান্য, অধিকাংশ শেয়ারে দরপতন Dec 03, 2025
img
স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক কমাতে কাজ শুরু করেছে সরকার Dec 03, 2025
img
সেটে দেরিতে আসা অহংকার নয়, এটি স্টারডমের প্রকাশ: শত্রুঘ্ন সিনহা Dec 03, 2025
img
চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার আইনজীবী প্রদীপ চৌধুরীর মুক্তি দাবি Dec 03, 2025
img
সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান Dec 03, 2025
img
জনপ্রিয় তারকাদের তালিকায় শীর্ষে নতুন দুই মুখ আহান পান্ডে ও অনীত পাড্ডা Dec 03, 2025
img
২৮ ডিসেম্বর খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় Dec 03, 2025
img
জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া মির্জা আব্বাসের Dec 03, 2025
img
বিচ্ছেদের পথে অঙ্কিতা-প্রান্তিক Dec 03, 2025
img
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের যুক্ত করতে পে-প্যাল সাথে যোগাযোগ চলছে: গভর্নর Dec 03, 2025
img
সশরীরেই ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে সেনা কর্মকর্তাদের Dec 03, 2025
img
রংপুরে চলছে ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশ Dec 03, 2025
img
ঢাকা কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ, নিউমার্কেটসহ আশপাশে তীব্র যানজট Dec 03, 2025
img
নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা Dec 03, 2025
img
টানা ২০টি ওয়ানডেতে টস হারের বিশ্বরেকর্ড গড়লো ভারত Dec 03, 2025