আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু আজ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু আজ।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মঈনুল করিম, প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান, তারেক আবদুল্লাহসহ অন্যরা। এছাড়া স্টেট ডিফেন্সসহ আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সকালে এ মামলার ছয় আসামিকে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তারা হলেন- এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।

এর আগে, ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের পক্ষে গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।

গত ৩০ জুলাই পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত চার আইনজীবী। এর মধ্যে পাঁচজনের হয়ে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া।

নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এছাড়া শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম।

২৯ জুলাই তিন আসামির পক্ষে শুনানি হয়। এর মধ্যে শরিফুলের হয়ে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো। কনস্টেবল সুজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ইমরানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান।

২৮ জুলাই এ মামলার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করে প্রসিকিউশন। ওই দিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি এ মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়া হয় ৩০ জুন। আর ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। এ মামলায় মোট সাক্ষী ৬২ জন।

এমআর/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস আজ Oct 22, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিকেলে এনসিপি ও সন্ধ্যায় জামায়াতের বৈঠক Oct 22, 2025
img
৮ দাবি নিয়ে এবার মাঠে নামছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি Oct 22, 2025
img
কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুবার্ষিকী আজ Oct 22, 2025
img
টিউলিপ সিদ্দিককে ফের তলব, ৫ ঠিকানায় দুদকের চিঠি Oct 22, 2025
img
করপোরেট অফিস থেকে রুপালি পর্দার আলোয় পরিণীতি Oct 22, 2025
img
নির্বাচনে দু’পক্ষের সহিংসতায় আটক হলে ভোটের আগে কেউ ছাড়া পাবে না : নির্বাচন কমিশন Oct 22, 2025
img
উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য জিয়াউর রহমান ২ শতাংশ সুদে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়েছিলেন : ফখরুল Oct 22, 2025
অলসতা থেকে বাঁচার উপায় | ইসলামিক টিপস Oct 22, 2025
img
মালদ্বীপ ইমিগ্রেশনের অভিযানে ১৪ প্রবাসী আটক Oct 22, 2025
img
জামায়াতের রাজনৈতিক দর্শন জাতীয় চেতনার পরিপন্থি : নাসীরুদ্দীন Oct 22, 2025
img
অ্যাটলির বিজ্ঞাপনচিত্রে রণবীর-শ্রীলীলা Oct 22, 2025
img
বাণিজ্য ও রাশিয়ার তেল নিয়ে মোদির সঙ্গে কথা বলেছি: ট্রাম্প Oct 22, 2025
img

১৫ সেনা কর্মকর্তা প্রসঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবী

‘প্রসিকিউশন বলেছে গ্রেপ্তার, আমরা বলি আত্মসমর্পণ’ Oct 22, 2025
img
কাতারে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা না দেয়ার প্রচারণাটি গুজব : মন্ত্রণালয় Oct 22, 2025
img
ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিলেন মির্জা ফখরুল Oct 22, 2025
img
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজনভ্যানেই ট্রাইব্যুনাল ছাড়লেন ১৫ সেনা কর্মকর্তা Oct 22, 2025
img
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান, জব্দ ১২ হাজার মিটার জাল Oct 22, 2025
img
পুতিনের সাথে বৈঠক বাতিল, ট্রাম্প বললেন অযথা ‘সময় নষ্ট করতে চান না’ Oct 22, 2025
এসি বাসে সেনা কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করা হচ্ছে Oct 22, 2025