আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন বাবা মকবুল

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তার বাবা মকবুল হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

এর আগে বুধবার প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে আবু সাঈদ হত্যার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর আবু সাঈদকে গুলি করার দুটি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হয়।

পরে ট্রাইব্যুনাল আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন শহীদ আবু সাঈদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হন। তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলন আরো তীব্র হয়।

এক পর্যায়ে তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। রক্তক্ষয়ী সেই আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।
এই হত্যাকাণ্ডের পর শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা গত ১৩ জানুয়ারি ২৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেন। তারপর তদন্ত শুরু হয়।

গত ২৪ জুন চিফ প্রোসিকিউটর কার্যালয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (তদন্ত প্রতিবেদন) জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। গত ৩০ জুন তা আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। পরে গত ৬ জুলাই মামলার ‘আনুষ্ঠানিক অভিযোগ’ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার এই মামলায় সূচনা বক্তব্যে দেন চিফ প্রোসিকিউটর।

জানা গেছে, এই মামলার ৩০ জন আসামির ২৪ জনই পলাতক।

গ্রেপ্তার ছয়জনকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোক্টর শরিফুল ইসলাম, সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেল, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক সাবেক কর্মচারী মো. আনোয়ার পারভেজ, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।

এমআর/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিদেশি খেলোয়াড়দের নোয়াখালীর কালচারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব : পলাশ Dec 06, 2025
‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা Dec 06, 2025
img
বাণিজ্যিক আদালত দেশের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে : প্রধান বিচারপতি Dec 06, 2025
img

কৃতি শ্যানন

কখনও কখনও জীবন নিজেই পথ করে দেয় Dec 06, 2025
img
ফ্যাসিজমের কালো ছায়া এখনো কাটেনি : ডা. শফিকুর রহমান Dec 06, 2025
img
ইতালি যাওয়ায় পথে ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ মাদারীপুরের যুবক Dec 06, 2025
img
আপিলের পর সুসংবাদ পেল লুইস দিয়াস Dec 06, 2025
img
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে বসত-বাড়ি Dec 06, 2025
img
শাহ আমানত বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজ থেকে ৮০০ কার্টন সিগারেট জব্দ Dec 06, 2025
img
কুড়িগ্রামে ৪ মেট্রিক টন ডিএপি সার জব্দ Dec 06, 2025
img
ক্ষমতায় যাওয়ার আগে একটি দল ফ্যাসিবাদের মতো আচরণ করছে : সাইফুল হক Dec 06, 2025
বিশ্বের সবচেয়ে নিয়ন্ত্রিত খাদ্য নিরাপত্তা পুতিনের Dec 06, 2025
img
পু‌লিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩৩৩ Dec 06, 2025
img
ভয় দেখাতেই কার্টুনিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা: সারা হোসেন Dec 06, 2025
img
তাইওয়ানে নিষিদ্ধ হলো চীনা অ্যাপ 'রেডনোট' Dec 06, 2025
img
ঢাকা ক্যাপিটালসের সহকারী কোচ গোলাম মর্তুজা Dec 06, 2025
img
ফ্ল্যাট বিক্রি করেও অসুস্থ মাকে পর্যাপ্ত টাকা পাঠাতে পারিনি: অলিভিয়া সরকার Dec 06, 2025
img
বড়দিনে আসছে ফেলুদা সিরিজের তৃতীয় সিজন, ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ Dec 06, 2025
img
উপযুক্ত সময়েই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: রিজভী Dec 06, 2025
img
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১ Dec 06, 2025