বাফার জোনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন জেলেনস্কি

শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে বাফার জোনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) তিনি বলেন, আজকের প্রযুক্তিনির্ভর যুদ্ধে বাফার জোন কার্যকর নয়। ভারী অস্ত্র এরই মধ্যে ১০ কিলোমিটারের বেশি দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে, কারণ ড্রোন হামলায় সবকিছুই টার্গেট হয়।

জেলেনস্কি আরও স্পষ্ট করেন, এ ধরনের প্রস্তাব বাস্তবায়ন মানে ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ছাড়তে বাধ্য করা, যা তিনি মেনে নেবেন না।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ইউরোপীয় নেতাদের পক্ষ থেকে ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বাফার জোন তৈরির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার খবর প্রকাশিত হয়। প্রস্তাবটি যুদ্ধবিরতি বা দীর্ঘমেয়াদি শান্তিচুক্তির অংশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

জেলেনস্কি জানান, তার অগ্রাধিকার এখন ইউক্রেনের জন্য কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচনা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রকেও এর অংশ হতে হবে। তার দাবি, কিয়েভের বিষয়ে স্পষ্ট ও আইনসম্মত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া যুদ্ধোত্তর সমাধান কার্যকর হবে না।  

বৃহস্পতিবারে রুশ হামলার পর ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিয়েভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ২০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে। রাতভর আক্রমণে ৬০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এতে আবাসিক ভবন ছাড়াও আজারবাইজান দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশন, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও একটি তুর্কি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অন্যদিকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রাসনোদার অঞ্চলের আফিপস্কি তেল শোধনাগারে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার পর অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যদিও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি।

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলোসভ বলেছেন, চলতি বছরে তাদের সেনারা মাসে ৬০০ থেকে ৭০০ বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে, যা বছরের শুরুতে ৩০০ থেকে ৪০০ বর্গকিলোমিটার ছিল। তার ভাষায়, এ বছর ইউক্রেনের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের ৬২ শতাংশ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।

ড্রোন ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়ানো এবং সামরিক গতিশীলতা উন্নত করাকেই এখন রাশিয়ার অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

এমআর/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কক্সবাজারে নদী ও পরিবেশ দূষণ করলে হোটেল বন্ধ করা হবে: নৌপরিবহণ উপদেষ্টা Aug 31, 2025
img
প্রতিটি জেলায় ট্যালেন্ট হান্ট চালু করবে বিএনপি : আমিনুল হক Aug 30, 2025
img
ম্যাচসেরা তাসকিন জানালেন সাফল্যের রহস্য Aug 30, 2025
img

জামায়াত নেতা রেজাউল করিম

‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে’ Aug 30, 2025
img
বিএনপি এখন বেহেশত ও দোজখের মাঝামাঝি আছে : রনি Aug 30, 2025
img
সাভারে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৪ Aug 30, 2025
img
ডিজিটাল যুগে নির্মল ভালোবাসার প্রতীক হয়ে ফিরলেন কৃতি শেট্টি Aug 30, 2025
img
করণের সিনেমায় জাহ্নবীর চাইতে কম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে সানায়া, নেটিজেনদের ক্ষোভ Aug 30, 2025
img
জামায়াত বিশ্বাসঘাতক: খোকন Aug 30, 2025
img

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা

‘মার্কিন ব্র্যান্ড এখন টয়লেটে চলে গেছে’ Aug 30, 2025
নুরের ঘটনায় নতুন যে কর্মসূচি দিলো গণঅধিকার পরিষদ Aug 30, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে বুথের সংখ্যা বাড়িয়ে ৭১০ নির্ধারণ Aug 30, 2025
img
৮ বিভাগে ৮টি স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করব : আসিফ মাহমুদ Aug 30, 2025
img
জয়ের পর ইমন-সাইফ-তাসকিনদের প্রশংসা করলেন লিটন Aug 30, 2025
যেভাবে গুম করা হতো, জানালেন নাবিলা ইদ্রিস Aug 30, 2025
img
তিন মাস পর আবারও পর্যটকদের জন্য খুলছে সুন্দরবনের দুয়ার Aug 30, 2025
img
পুলিশের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করছে ডিএমপি Aug 30, 2025
img
ইসরাইলের সঙ্গে সব বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা তুরস্কের Aug 30, 2025
img
ফেব্রুয়ারির আগেই হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তির প্রত্যাশা চিফ প্রসিকিউটরের Aug 30, 2025
img
দেশের বাজারে ২ দফায় বাড়ল স্বর্ণের দাম Aug 30, 2025