যারা একসময় হতাশায় ভুগেছিল, তারাই এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা

যারা একসময় হতাশায় ভুগেছিল, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী তারাই এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

দক্ষিণ এশিয়ার মানবাধিকার সংস্থার (এসএএইচআর) একটি প্রতিনিধিদল শনিবার (৩০ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন এসএএইচআর-এর সহ-সভাপতি রশ্মি গোস্বামী, পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী সারুপ ইজাজ, শ্রীলঙ্কার দীকশ্য ইলাঙ্গাসিংহে ও অনুশায়া কল্লুরে এবং বাংলাদেশের সাঈদ আহমেদ।

এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস. মুরশিদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে যুবসমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেন।

তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমরা সব স্তরে যুবসমাজের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। সংস্কার কমিশনে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে, নীতি প্রণয়নসহ রাষ্ট্র পরিচালনার সব ক্ষেত্রে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

যারা একসময় হতাশায় ভুগেছিল, তারাই এখন গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রবীণ প্রজন্ম হিসেবে তাদেরকে পথপ্রদর্শন ও সহায়তা করা আমাদের দায়িত্ব। এটি শুধু বাংলাদেশেরই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।’

রশ্মি গোস্বামী বলেন, ‘এ মুহূর্ত শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই একটি রূপান্তরমূলক সময়।

আমরা এখানে সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এই সরকারের প্রতি প্রত্যাশা অনেক বেশি, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। সেই প্রত্যাশা পূরণ করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’

প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ এবং মানবাধিকার নিশ্চিতের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তারা গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে মসৃণ করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন।

 পিএ/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ঘুষ জাদুঘরে পাঠানো হবে : সরওয়ার ছিদ্দিকী Nov 12, 2025
img
ইয়ামালকে বিশ্বকাপ বাছাই থেকে বাদ দিল স্পেন Nov 12, 2025
img
৫৩ হাজার টাকায় বিক্রি হলো পদ্মার ১৯ কেজির কাতল Nov 12, 2025
img
আমি একজন সৌদি মানুষ : রোনালদো Nov 12, 2025
img
কোহলি-রোহিতকে বিশেষ নির্দেশনা দিল বিসিসিআই Nov 12, 2025
img
গণঅভ্যুত্থানে চানখারপুলে ৬ জনকে হত্যার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ আজ Nov 12, 2025
img
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ Nov 12, 2025
img
ভোট চাইতে গিয়ে কৃষকের ধান কেটে দিলেন মুফতি আমির হামজা Nov 12, 2025
img
নির্বাচনকে ঘিরে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে: জিল্লুর রহমান Nov 12, 2025
img
গুজবকে পেছনে ফেলে হাসপাতাল থেকে হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন ধর্মেন্দ্র Nov 12, 2025
img
নতুন অ্যালবাম ‘ভাল লাগে না’ নিয়ে ব্যস্ত শায়ান চৌধুরী অর্ণব Nov 12, 2025
img
৪৪তম বিসিএসের নতুন ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬৭৬ জন Nov 12, 2025
img
উদ্বোধনের কয়েক মাস পরই ধসে পড়ল চীনের হংকি সেতু Nov 12, 2025
img
অনশনের কারণে কিডনিতে জটিলতা, লাগবে ডায়ালাইসিস: তারেক Nov 12, 2025
img
সম্ভাব্য মার্কিন হামলা ঠেকাতে গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভেনেজুয়েলা Nov 12, 2025
img
বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ৪৪ জনের Nov 12, 2025
img
তাইজুল-হাসানের জাদুতে ‘১৫ মিনিটে’ অলআউট আয়ারল্যান্ড Nov 12, 2025
img
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি গোবিন্দ Nov 12, 2025
img
গাজীপুরে এক রাতে ৩ বাসে আগুন Nov 12, 2025
img

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

মির্জা ফখরুলের বক্তব্য জুলাইয়ের অবদানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা Nov 12, 2025