তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) ২৫তম রাষ্ট্রপ্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে চীনে পৌঁছেছেন।
রোববার (৩১ আগস্ট) তিনি চীনের তিয়ানজিন শহরে পৌঁছান।
বেনহাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে স্বাগত জানান চীনের মন্ত্রী লেই হাইচাও, বেইজিংয়ে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত সেলচুক উনাল এবং দেশটির দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এরদোয়ানের সঙ্গে রয়েছেন ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোয়ান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ইব্রাহিম কালিনসহ একাধিক মন্ত্রী ও সরকারি প্রতিনিধি।
রোববার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেবেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
পরদিন সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এসসিও সম্মেলনের বর্ধিত অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। বলে জানিয়েছেন তুরস্কের যোগাযোগ পরিচালক।
এ বছরের পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। এতে অংশ নিচ্ছেন ২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও এসসিও মহাসচিব নুরলান ইয়ারমেকবায়েভ।
১৯৯৬ সালে চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান মিলে ‘সাংহাই ফাইভ’ নামে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। ২০০১ সালে উজবেকিস্তান যোগ দিলে এটি রূপ নেয় সাংহাই সহযোগিতা সংস্থায়। বর্তমানে তুরস্কসহ এসসিওতে রয়েছে ১০টি সদস্য রাষ্ট্র, ২টি পর্যবেক্ষক দেশ এবং ১৪টি সংলাপ সহযোগী রাষ্ট্র।
সংস্থাটি বিশ্বের মোট ভূমির ২৪ শতাংশ এবং জনসংখ্যার প্রায় ৪২ শতাংশ জনসংখ্যা জুড়ে বিস্তৃত। সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত জিডিপি বিশ্বের এক-চতুর্থাংশের সমান এবং পারস্পরিক বাণিজ্য গত দুই দশকে প্রায় ১০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
এমআর/টিকে