জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হতে হবে: ডা. তাহের

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চাই। সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হতে হবে।


বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একটি দল মেজর ইস্যুতে নোট অফ ডিসেন্ট দিয়েছে। কিন্তু সব সময় দুই-তৃতীয়াংশ দল নিঃশর্ত ঐকমত্য পোষণ করেছে। নোট অফ ডিসেন্ট যে কোনো দল যে কোনো বিষয়ে দিতেই পারে, এটা তার অধিকার। কিন্তু নোট অফ ডিসেন্টের মাধ্যমে সিদ্ধান্তের কোনো হেরফের হয় না।

রোববার (৩১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. তাহের বলেন, জুলাই সনদের তিনটি অংশ- ঐকমত্যে পৌঁছানো, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া এবং এর আলোকে কার্যক্রম পরিচালনা করা। এখন পর্যন্ত আমরা শুধু ঐকমত্যে পৌঁছেছি। কিন্তু জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দু-একটি দল বাধা দিচ্ছে, একমত হচ্ছে না।

তিনি বলেন, জুলাই সনদের ব্যাপারে আমরা অনেক পরিবর্তন চেয়েছিলাম। কিন্তু ন্যূনতম সংস্কারের যে জায়গা, এটা প্রধান উপদেষ্টার ওয়াদা, সেটা যেন অবশ্যই আইনের ভিত্তির মাধ্যমে এখনই কার্যকর করা হয়। যদি তা না হয় তাহলে জুলাই শহীদদের রক্ত দেওয়া জীবন দেওয়া অর্থহীন হবে এবং জুলাই শহীদদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।

জামায়াতের এ নেতা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য করণীয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র, নির্বাচন বানচাল করার যে ষড়যন্ত্র- এসব বিষয়েই আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তিনটি বিষয়ে জাতিকে আশ্বস্ত করেন। তার সরকার যেসব কারণে বারবার নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত হয় সেগুলো সংস্কার করবে। বিচারকে দৃশ্যমান করা হবে এবং বিশ্বমানের আনন্দঘন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হবে।

‘প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে ৩১টি দল সংস্কারের বিষয়ে একটি জায়গায় আসার চেষ্টা করেছি এবং সেখানে অনেক ডেভেলপমেন্টও আছে। আমরা অনেকগুলো বিষয়ে সব দল ঐকমত্য পোষণ করেছে’- যোগ করেন ডা. তাহের।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামিন চেয়ে আবেদন করলেন সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, শুনানি দুপুরে Sep 03, 2025
img
ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে তুরস্কের ক্লাবে যোগ দিলেন গুন্ডোগান Sep 03, 2025
img
মাঠে ফিরতে পারবেন, তবুও শাস্তি এড়াতে পারছেন না ব্রাজিলিয়ান তারকা! Sep 03, 2025
ট্রাম্পের পছন্দে ঢাকার নতুন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন Sep 03, 2025
img
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে শুনানি শেষ, আদেশ কিছুক্ষণ পর Sep 03, 2025
img
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপালের বিপক্ষে দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ Sep 03, 2025
img
ইতিহাস গড়ে ২৯ বছরেই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত Sep 03, 2025
img
চবিতে শুরু ক্লাস-পরীক্ষা , তবে উপস্থিতি কম শিক্ষার্থীদের Sep 03, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল Sep 03, 2025
img
সংস্কার না হলে অনেক দলই নির্বাচনে অংশ নেবে না : সারোয়ার তুষা Sep 03, 2025
img
ফিক্সিং রোধে টুর্নামেন্টের আগেই কঠোর নির্দেশনা বিসিবির Sep 03, 2025
img
বাংলাদেশে ‘এনার্কি’ তৈরি হলে সবচেয়ে খুশি হবে আওয়ামী লীগ ও ভারত : জাহেদ উর রহমান Sep 03, 2025
ক্যামেরা নয়, স্মার্টফোনেই গড়ে উঠছে নতুন সাংবাদিকতা Sep 03, 2025
img

আপিল বিভাগে শিশির মনির

ডাকসু নির্বাচন বানচালের জন্য রিট, এ রিট চলতে পারে না Sep 03, 2025
img
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সব কূল হারিয়ে ফেলেছেন : গোলাম মাওলা রনি Sep 03, 2025
img
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল একপেশে, আমি ক্ষমতায় আসার পর তা বদলেছে: ট্রাম্প Sep 03, 2025
img
লিবিয়ার ২ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত Sep 03, 2025
img
ছাত্রশিবিরের অভিযোগের পর নারী হেনস্তাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল প্রশাসন Sep 03, 2025
img
ভেনেজুয়েলার নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় প্রাণ গেল অন্তত ১১ জনের Sep 03, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় রাজসাক্ষী মামুনের জেরা বৃহস্পতিবার Sep 03, 2025