দাম বাড়াতে ঘোষণা ছাড়াই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো ভারত

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দেশের তিনটি প্রধান স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর ও দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজের গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। বেনাপোল বন্দর দিয়ে সকালে ৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ প্রবেশের পরই দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকদের সংগঠন। ফলে বেনাপোলের ওপারের পেট্রাপোলে আটকা পড়ে আছে পেঁয়াজ ভর্তি প্রায় ১৫০টি ট্রাক।

বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোল রপ্তানিকারক সমিতির পক্ষে পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েল ফেয়ারের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র ঘোষ বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিকারক সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৭৫০ মার্কিন ডলারের নীচে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে না। সে কারণে শতাধিক পেঁয়াজ ভর্তি গাড়ি পেট্রাপোল বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে।

বেনাপোলের পেঁয়াজ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য শুরুর পর থেকে ১৫৫-২৫০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে আসছে। ভারতের নাসিকে বন্যার কারণে সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের রপ্তানিকারকরা স্থানীয় বাজার দর হিসাবে ৭৫০ ডলারের নীচে বাংলাদেশে পেঁয়াজের রপ্তানি করবে না। এ কারণে তাঁরা পেঁয়াজের রপ্তানি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের চাহিদানুযায়ী ৭৫০ ডলারে পেঁয়াজ বাংলাদেশের আমদানিকারকরা নিতে চাইলে তারা আবার পেঁয়াজ রপ্তানি করবে বলে জানিয়েছে।

ভারতের বনগাঁ এলাকার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী অনিল মজুমদার জানান, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করতে তাদের আপত্তি নেই। বাজার দরে এলসি পেলে তারা পুনরায় রফতানি শুরু করবে। সে ক্ষেত্রে পুরানো যে সব এলসি দেয়া আছে সেগুলো ২৫০ ডলার সংশোধন করে ৭৫০ ডলার করা হলে পেঁয়াজের আমদানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভারত কোনো ঘোষণা ছাড়াই মূল্যবৃদ্ধির দাবিতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। পারস্পারিক বাণিজ্যে সমঝোতার বিকল্প নেই। তারা রফতানি বন্ধ না করে পেঁয়াজের আমাদানিকারকদের কে সময় বেঁধে দিতে পারতেন। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তটা নেওয়া ঠিক হয়নি।

ভোমরা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার পারভেজ আমানও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানি কেন হচ্ছে না, তা কেউ তাকে কিছু বলেনি।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনি শুনেছেন রপ্তানির ন্যূনতম মূল্য বাড়ানোর জন্য রপ্তানিকারকেরা আপাতত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: