কনস্যূলেট বন্ধ : যুক্তরাষ্ট্রের গালে চীনের চপেটাঘাত!

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংডুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শি জিন পিংয়ের সরকার। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান কূটনৈতিক বিরোধের জেরে চীন এই ঘোষণা দিয়েছে।

এই উদ্যোগকে যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া কূটনৈতিক শিষ্ঠাচার বহির্ভূত আচরণের কড়া জবাব বলে আখ্যা দিয়েছে চীন।

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের হাউসটনে অবস্থিত চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।

ওই ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, চীনারা মেধা সম্পদ চুরি করছে, যে কারণে হাউসটনের চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বিবিসি জানায়, সম্প্রতি ভারতের লাদাখে চীন-ভারত বিরোধ, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের নৌ মহড়া, হংকংয়ের আন্দোলন দমনে চীনের কঠোর অবস্থানসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। এছাড়া বাণিজ্য ঘাটতি ও করোনা মহামারী মোকাবেলা নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে বারবার বিরোধে জড়িয়ে পড়ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এসব ব্যাপারে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া অযৌক্তিক পদক্ষেপের জবাবে চীন বৈধভাবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসনকে বিতর্কিত করেছে বলেও জানিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংডুতে কনস্যুলেট স্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে সেখানে অন্তত ২০০ কর্মী রয়েছেন। কনস্যূলেটটির অবস্থান বহুল আলোচিত স্বায়ত্তশাসিত তিব্বতের কাছাকাছি হওয়ায় কৌশলগত ভাবে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে চীনের কনস্যুলেট বন্ধের পাল্টা হিসেবে মঙ্গলবার চীন চেংডুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যূলেট বন্ধ করে দেয়। যা যুক্তরাষ্ট্রের গালে চীনের চপেটাঘাত মানছেন অনেকেই।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: