মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচ আবারও বাড়ছে

মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আবারও এক দুঃসংবাদ। মোবাইল ফোনের ভয়েসকল, ইন্টারনেট, মেসেজ ও অন্যান্য সেবার সম্পুরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগামী অর্থবছরে দেশের টেলিকম খাত থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে মোবাইল ফোন কল, ইন্টারনেট, এসএমএস ও অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১০ শতাংশ সম্পুরক শুল্ক আগামী অর্থবছরে বাড়ানো হতে পারে। ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সম্পুরক শুল্ক ১৫ শতাংশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে কয়েকটি মোবাইল ফোন অপারেটররা জানিয়েছেন, সম্পুরক শুল্ক যদি পাঁচ শতাংশ বেড়ে যায় তাহলে গ্রাহকরা ১০০ টাকার সেবায় ১৩৩ দশমিক শূন্য ৭২৫ টাকার বিল পাবেন। অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে ৭৫.১৪৭ টাকার সেবা পাবেন গ্রাহক।

জানা গেছে, সম্পুরক শুল্ক ছাড়াও দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের এখন ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং এক শতাংশ সারচার্জ দিতে হয়। এর পরে যদি আবার ১৫ শতাংশ সম্পুরক শুল্ক দিতে হয়, তবে চরম বিপাকে পড়বেন গ্রাহক।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকার প্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিন শতাংশ সম্পুরক শুল্ক আরোপ করেছিল। সেই তিন শতাংশ সম্পুরক শুল্ক বাড়তে বাড়তে চলতি অর্থবছরে ১০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া গত বছর স্মার্টফোন আমদানিতে বিশাল আকারে কর আরোপ করেছিল সরকার। দেশীয় শিল্পকে সুবিধা দিতে সরকার ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে জানা যায়।

এদিকে এনবিআরের তথ্য বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজস্ব আয়ের উৎস ছিল ফোন এবং সিম কার্ডের ভ্যাট ও পরিপূরক শুল্ক। ওই অর্থ বছর এই খাতে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার রাজস্ব পায় সরকার। প্রতি বছরই এ খাতে রাজস্ব বাড়ছেই।

সম্পুরক শুল্ক বাড়ানোর বিষয়ে রবির প্রধান কর্পোরেট ও রেগুলেটরি কর্মকর্তা শাহেদ আলম বলেন, এ জাতীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত না। কারণ এতে গ্রাহকদের ব্যয়ের বোঝা আরও বাড়বে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, গ্রাহকের ব্যয় করা প্রতি ১০০ টাকার মধ্যে ৫৩ টাকাই বিভিন্ন ভাবে সরকারি কোষাগারে পৌঁছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: