সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১৬ নভেম্বর) মো. তারেক রহমান নামে এক চাকরিপ্রার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এ রিট দায়ের করেন।
রিটকারী আবেদনে উল্লেখ করেছেন, গত ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোটা প্রথা বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর গত ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা ও পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে ওই প্রজ্ঞাপনের অষ্টম অনুচ্ছেদে বিষয়টি উল্লেখ করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র এবং সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।
রিটকারীর আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ২০% পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে, অথচ অন্য কোনো অনগ্রসর কিংবা প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কিছুই উল্লেখ নাই। উক্ত কোটা বণ্টনের ফলে সমাজের নিম্ন শ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের চাকরিপ্রত্যাশী ছেলেদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ। যা তাদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই রিট আবেদনটি শুনানির জন্যে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান আইনজীবী।
টাইমস/এসজে/এসএন