নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্যতা দৃশ্যমান হতে হবে: মাহবুব তালুকদার

ইসি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করলেই যে তা সুষ্ঠু হয়ে যাবে- এমন কোনো কথা নেই মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নির্বাচনে গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে। জনতার চোখ বলে একটা কথা আছে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি মেয়রের শূন্য পদে স্থগিত নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনের পরের দিন সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, ভোট নিয়ে তিনি তৃপ্ত-সন্তুষ্ট। ভোটে কোনো অনিয়ম হয়নি। ভোটে তাঁরা লজ্জিত নন। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে।

মাহবুব তালুকদার বলেন, আমি এখন পর্যন্ত যেসব কাগজপত্র দেখেছি, তাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পর্যবেক্ষক পর্যন্ত সবার প্রতিবেদনে দুটি শব্দ অতিমাত্রায় ব্যবহৃত হয়েছে। একটি ‘সন্তোষজনক’ এবং অন্যটি ‘স্বাভাবিক’। তার মানে কি আমাদের নির্বাচন খুবই সন্তোষজনক হয়েছে? এ ক্ষেত্রে পাবলিক পারসেপশন কী, তা নিজেদের কাছেই জিজ্ঞেস করতে হবে।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের ও আপনাদের সবার কর্মকাণ্ড জনতার চোখে পরীক্ষিত হবে। সুতরাং যথার্থ একটি গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করার জন্য আমাদের সবাইকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।

মাহবুব তালুকদার বলেন, আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে মূলত দুই প্রধান শক্তির ওপর নির্ভরশীল। একদিকে নির্বাচন কর্মকর্তা বা নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

নিজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব বলেন, ইসিতে আমার দুই বছরের অভিজ্ঞতা বলে, বিভিন্ন প্রতিবেদনে, বিশেষত নিজস্ব পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদনে সাধারণত কোনো নেতিবাচক বিষয় লিপিবদ্ধ করার বিষয়ে আমরা দ্বিধান্বিত। সবাই যেন কাগজপত্রে গা বাঁচিয়ে চলতে চান। যদি কেউ তথ্য–উপাত্ত দিয়ে আমার কথার বিরোধিতা করতে পারেন, তাহলে আমি খুশি হব। আমি মনে করি, নির্বাচনে প্রকৃত চিত্রটি সব প্রতিবেদনে উঠে আসা উচিত।

আসন্ন সিটি নির্বাচন নিয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাকে আমি নাতিশীতোষ্ণ নির্বাচন বলব। কারণ, এই নির্বাচনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার কথা ছিল। যে উত্তাপ ও উষ্ণতা থাকার কথা ছিল, এখন পর্যন্ত অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় তা হবে না। কেবল কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিছুটা উষ্ণতা আশা করা যায়। আসন্ন নির্বাচনের শৈত্যপ্রবাহ তাতে কেটে যাবে বলে আমরা মনে করতে পারি।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: