বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষায় ‘পাখি ফাউন্ডেশন’

অটিজম ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের নিয়ে পাখি ফাউন্ডেশন স্কুলটি এখন যেকোনো প্রতিবন্ধীদের দ্বার খুলেছে। তবে দুইবছর আগে হওয়া স্কুলটি ছোট পরিসরের হলেও এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১ জন। আর তাদেরও প্রভাতি ও দিবা শিফট রয়েছে।

জানা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০১৭ সালে। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক রয়েছেন সাতজন। আর শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩১ জন। আর শিক্ষিকরা সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

পুরান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা হাসিনা বানু বাংলাদেশ টাইমস’কে বলেন, আমার ছেলে তৌহিদ একজন প্রতিবন্ধী। তার শরীরে এডিএসডি ধরা পড়েছে। সে একজন প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু। তাই এখানে বিশেষ শিক্ষা ও বিশেষ পরিচর্যার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। তিনি তার সন্তানকে এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়েছেন।

আরেক অভিভাবক পুরান ঢাকার আন্না ঘোষ বাংলাদেশ টাইমস’কে জানান, তার শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী ছেলে সজিব দাসের জন্য কোনো বিদ্যালয় বা পরিচর্যা কেন্দ্র খুঁজে পাননি। পুরান ঢাকার হেমেন্দ্র দাস লেনে (পাখি) স্কুল নামে বিশেষ শিক্ষা ও সেবা দান কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাই এখানে ছেলেকে ভর্তি করিয়েছি।

স্থানীয়রা জানান, সমাজের অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিশুদের শিক্ষার সুযোগ করে দিতে এগিয়ে এসেছে পাখি বিদ্যালয়টি। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য পুরান ঢাকায় প্রথম গড়ে উঠেছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে যে সেবাগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তার মধ্যে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিশুদের জন্যে থেরাপিভিত্তিক বিশেষ শিক্ষা কার্যক্রম, অকুপেশনাল থেরাপি কনসালটেনসি, সেন্সরিইন্টিগ্রেশন থেরাপি, শিশুর দৈনিক কাজ ও খেলাধুলা প্রশিক্ষণ, অভিভাবক কাউন্সেলিং, বিলম্বিত কথা বলা শিশুর জন্যে থেরাপি ও প্যারেন্ট কাউন্সেলিং, আউটডোর ক্লিনিক্যাল ও এডুকেশনাল সাইকোলজিক্যাল কনসালটেনসি, আউটডোর সাইকোলজিক্যাল, অকুপেশনাল, ফিজিওলজি ও স্পিচ থেরাপি সেশনসহ অন্য সব সেবা।

বিশেষ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান ঝুমানা মল্লিক বাংলাদেশ টাইমস’কে বলেন, বাংলাদেশে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষার অধিকার সুরক্ষার জন্য আপাতত কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। এই শিশুদের মূলধারার শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে ও স্বাভাবিক শিশুদের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বিশেষ পরিচর্যা ও পরামর্শের প্রয়োজন হয়, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

ঝুমনা মল্লিক বলেন, শিশুদের সাধারণত দশ ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকে। আমরা চাই ভবিষ্যতে আলাদা আলাদা বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে সেবা প্রদান করতে এবং অনলাইনের মাধ্যমেও সেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।

 

টাইমস/টিআর/জেডএ/এইচইউ

Share this news on: