পারিবারিক ব্যবসার স্বার্থেই পাকিস্তানের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন ট্রাম্প!

বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে দিন দিন জটিল হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক। ভারতের ওপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের শুল্কারোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরমধ্যেই, ট্রাম্প পারিবারিক ব্যবসার স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছেন বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভান।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক বৈরিতার মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চীন সফর বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন এক সমীকরণের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এদিকে, ভারতের জন্য তেল আমদানিতে বিশেষ মূল্য ছাড় দিচ্ছে রাশিয়া। এরমধ্যেই, আবারও কড়া ভাষায় মোদি সরকারের সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

এক রেডিও সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে খুব সামান্য ব্যবসা করলেও নয়াদিল্লি বিশাল অঙ্কের রফতানি করছে ওয়াশিংটনে। এর আগে, হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের ওপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দেন তিনি। ট্রাম্পের শুল্কের চাপে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নয়াদিল্লি। স্থানীয় পণ্যের চাহিদা বাড়াতে এবং শুল্কের ধাক্কা সামলাতে দেশটি ছোট গাড়ি থেকে এয়ার কন্ডিশনার পর্যন্ত শত শত ভোক্তা পণ্যে কর কমিয়েছে। চার স্তরের জিএসটি নামিয়ে আনা হয়েছে দুই স্তরে। 

বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের মার্কিন বাজারে রফতানি নির্ভরতা এতটাই বেশি যে সরাসরি পাল্টা শুল্ক আরোপে এগোতে পারছে না। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিশোধমূলক শুল্ক ভারতের জন্য হবে আত্মঘাতী। বরং চীন, জাপান, রাশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে বিকল্প বাজার তৈরি করাই এখন সবচেয়ে বড় কৌশল।

এর মধ্যেই, সাবেক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের অভিযোগ, পাকিস্তানে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থের কারণেই নষ্ট হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র–ভারত সম্পর্ক। তিনি দাবি করেন, এ বছরের শুরুতে ট্রাম্প পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন ক্রিপ্টো কোম্পানি ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল’ পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে চুক্তি করে। সেই সূত্রেই ইসলামাবাদে মার্কিন বিনিয়োগ ও তেল-সম্পদ উন্নয়নে নতুন পথ খুলে দেয়া হয়। 

সুলিভানের অভিযোগ, ট্রাম্পের ব্যক্তিগত লাভের জন্য কূটনীতি উৎসর্গ করা হয়েছে।

ইউটি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
তাসকিনের দুর্দান্ত বোলিং, তবুও হারল তার দল Dec 21, 2025
img
সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ Dec 21, 2025
img
চাই নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হোক: জামায়াত আমির Dec 21, 2025
img
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ আজ Dec 21, 2025
img
বাপ স্বতন্ত্র, বেটিও স্বতন্ত্র, সময়ই উত্তর দেবে : রুমিন ফারহানা Dec 21, 2025
img
খেলোয়াড় ও কোচ সরবরাহে সৌদির প্রস্তাবে আপত্তি বিসিবির Dec 21, 2025
img
সুনামগঞ্জে ইজিবাইকের ভাড়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০ Dec 21, 2025
img
ফেনীতে হাদির ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে এনসিপির মশাল মিছিল Dec 21, 2025
img
'ধুরন্ধর'-এর প্রশংসায় পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি Dec 21, 2025
img
এভারটনকে ১-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করল আর্সেনাল Dec 21, 2025
img
সুদানে নিহত ৬ সেনার জানাজা আজ Dec 21, 2025
img
একটি মাছির কারণেই বদলে গেল গল্ফার টমির ভাগ্য Dec 21, 2025
img
গিলের উপর কারও কুনজর পড়েছে : গাভাসকর Dec 21, 2025
img
বাড্ডায় কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট Dec 21, 2025
img
হাদির নিথর দেহ জন্মভূমিতে না নেওয়ায় মর্মাহত এলাকাবাসী Dec 21, 2025
img
পথদুর্ঘটনায় আহত নোরা, তবু চিকিৎসকদের কথা না শুনে ছুটলেন কোথায়? Dec 21, 2025
img
৪১ বছর বয়সে ফের ইউরোপিয়ান ফুটবলে চিয়াগো সিলভা Dec 21, 2025
img
শীত নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা Dec 21, 2025
img
ফেরি থেকে ট্রাকসহ ৫ যান ধলেশ্বরী নদীতে, ৩ নিথর দেহ উদ্ধার Dec 21, 2025
img
চাকরিতে যোগ দিলেন না ভারতে হিজাব টেনে খুলে দেয়া সেই নারী চিকিৎসক Dec 21, 2025