সিলেটে প্রথমবারের মতো চালু ট্যুরিস্ট বাস সার্ভিস

সিলেটে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে ট্যুরিস্ট বাস সার্ভিস। এসব বাস ব্যবহার করে সিলেট থেকে বিভাগের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে যেতে পারবেন পর্যটকরা।

মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে নগরীর জিন্দাবাজারে এ বাসের উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

প্রাথমিকভাবে সিলেট ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের উদ্যোগে দুটি ট্যুরিস্ট বাস চালু হয়েছে। আগামীতে আরও ৬টি ট্যুরিস্ট বাস চালু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব বাসে এসি ও ওয়াইফাই আছে। বাসের কোনোটিতে ২২টি, কোনোটিতে ২৪টি করে আসন রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, সিলেটে ট্যুরিস্ট বাস চালুর মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলো। এর অংশ হতে পেরে আমি খুবই ভাগ্যবান।

তিনি বলেন, পর্যটন বিভিন্ন দেশের আয়ের অন্যতম উৎস। আমাদের পাশের দেয় থাইল্যান্ডের জিডিপির ২৩ ভাগ আসে পর্যটন খাত থেকে। কিন্তু আমাদের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান মাত্র ০.০০৫ ভাগ। দেশে পর্যটন বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ আছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অবকাঠামোগত দিক ঠিক না থাকায় আমরা উন্নতি করতে পারিনি। তবে সুখের বিষয় হচ্ছে, সিলেটে দুটি ট্যুরিস্ট বাস আসছে। সিলেটে আরেকটি জিনিস করা হয়েছে, পুরো সিলেট নগরীতে ওয়াইফাই চালু করছি। কিছুদিনের মধ্যে মানুষ এর সুবিধা পাবে। তখন পর্যটকদের জন্যও সুবিধা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হোটেল, বাস, রেস্তোরাঁ এগুলো অবকাঠামোর সাথে জড়িত। দিনে দিনে এগুলো তৈরি হচ্ছে, আরো ভালো হবে। এক্ষেত্রে আমার যতোটুকু সাহায্য প্রয়োজন, আমি অবশ্যই করবো। সিলেট অন্যান্য জেলাগুলো থেকে কিছুটা ডাউন আছে, যদিও এখানে সম্ভাবনা অনেক অনেক বেশি। সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সিলেট চেম্বার এগিয়ে আসছে। আমরা একসাথে কাজ করে সিলেটকে সত্যিকারের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

অনুষ্ঠানে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এ টি এম শোয়েব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামায়াতের কৌশলগত ভুলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় ফেরার সুযোগ দেখছেন মান্না Sep 18, 2025
img
সীমানা নির্ধারণে আদালতের রায় মেনে চলবে ইসি Sep 18, 2025
img
বাগেরহাটের চারটি আসন পুনর্বহালে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ঘোষণা Sep 18, 2025
img
সততার জন্য বাংলাদেশি তরুণকে পুরস্কৃত করল দুবাই পুলিশ Sep 18, 2025
img
দুর্নীতি দূর না হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনর্গঠন হবে না : বদিউল আলম Sep 18, 2025
img
অ্যানফিল্ডে দর্শক বিতর্কে লাল কার্ড পেলেন কোচ সিমিওনে Sep 18, 2025
img
আমার কাছে মাঝে মধ্যে মনে হয়, সরকার আছে নাকি নেই : রাশেদ খান Sep 18, 2025
img
৭ কলেজ ইস্যুতে ফের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা Sep 18, 2025
img
দেশের মিডিয়া এখনও নিয়ন্ত্রিত : নাহিদ ইসলাম Sep 18, 2025
img
আমাকে আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল: নাহিদ ইসলাম Sep 18, 2025
img
ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড Sep 18, 2025
img
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি Sep 18, 2025
img
ঢাকায় ফ্রান্স চালু করল অত্যাধুনিক ভিসা সেবা কেন্দ্র Sep 18, 2025
img
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পিআর অচল : নিলোফার মনি Sep 18, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করল ছাত্রদল Sep 18, 2025
img
ফিরেছে নেহাল, স্কোয়াডে নেই আরিফিন Sep 18, 2025
img
সৌদির নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্র নয়, প্রধান সঙ্গী এখন পাকিস্তান Sep 18, 2025
img
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের গোপন মিশন : রনি Sep 18, 2025
img
পাকিস্তান-সৌদি চুক্তি নিয়ে ভারতের বার্তা Sep 18, 2025
img
কলকাতার বাজারে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ইলিশ Sep 18, 2025