মাসুদ কামালের ইউটিউব অনুষ্ঠানে দর্শকের কথা

বিদেশ থেকে আরো কিছু এক্সপার্ট এনে ‘বিবৃতি কমিশন’ গঠন করতে পারেন!

বিদেশ থেকে আরো কিছু এক্সপার্ট এনে ‘বিবৃতি কমিশন’ গঠন করতে পারেন ড. ইউনূস বলে মন্তব্য করেছেন শাখাওয়াত হোসেন নামের একজন দর্শক।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) মাসুদ কামালের ইউটিউব চ্যানেল ‘কথা’য় এ মন্তব্য করেন তিনি।

‘দর্শকের কথা’ শিরোনামের এক অনুষ্ঠানে মাসুদ কামাল রাজবাড়ীর নুরুল পাগলা নামের এক ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে তুলে আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা নিয়ে একটি ভিডিও করেছিলাম। সেই ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে শাখাওয়াত হোসেন নামের ওই দর্শক লিখেছেন, “বিদেশ থেকে আরো কিছু এক্সপার্ট এনে ‘বিবৃতি কমিশন’ গঠন করতে পারেন ড. ইউনূস। এই সরকার বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ।”

এ ছাড়া দর্শকের কথা অনুষ্ঠানে আরো অনেকেই মন্তব্য করেছেন। সেখানে উদয়ন সরকার নামের একজন লিখেছেন, ‘আমরা এখন কেমন দেশে বাস করছি! মৃতদেহ তুলে আগুনে পোড়ানো—বাংলাদেশে এমন ঘটনা আগে শুনিনি। সব কিছুতেই এখন মব! ঘটনা ঘটার পর সবাই মব কালচারের সমালোচনা করে কিন্তু প্রতিরোধ কেউ করে না।

নূর মোহাম্মদ নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘একজন জীবিত মানুষের বিচার আদালত করবে আর মৃত মানুষের বিচার আল্লাহ করবেন। তাহলে মানুষের মরার পরও এই ধরনের বর্বরতা কেন? এই দেশের বিচার কে করবে?’

হালিম খান বলেছেন, ‘৪০ বছরের জীবনে এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখা বাকি ছিল, আল্লাহ সেটাও দেখালেন।’ মফিজউদ্দিন মন্তব্য করেছেন, ‘রাতে কাজ শেষে আপনার ভিডিওর অপেক্ষায় থাকি। আপনি নিরপেক্ষভাবে কথা বলেন। আমি নিজে একটি দলের সমর্থক, কিন্তু আপনি যখন সেই দলের ভুলও তুলে ধরেন তখনও ভালো লাগে।’

আজ আমিরে জামায়াত বলেছেন, ‘ক্ষমতার চাবি কাউকে দেবেন না।’ আমার প্রশ্ন—চাবিটা তাহলে উনার হাতেই?

মামুন প্রশ্ন তুলেছেন— ‘মামুনুল হক, আজহারি, এ দেশের বড় বড় আলেমরা এ বিষয়ে চুপ কেন?’ মোহাম্মদ আকাশ লিখেছেন, ‘যদি তিনি জীবিত থাকাকালীন নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করেন, তাহলে তখন তার বিচার হয়নি কেন? আর একজন মৃত মানুষের বিচার কিভাবে হয়?’

কাজী বাবু বলছেন, ‘স্বপ্নেও ভাবিনি এমন কিছু ঘটবে। আমরা আগেও আওয়ামী লীগের অনিয়ম নিয়ে কথা বলেছি, কিন্তু কখনো কল্পনাও করিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটবে।’

আরাফাত রহমান লিখেছেন, ‘আমি সাধারণ ছাত্র হিসেবে আন্দোলনে ছিলাম, ভেবেছিলাম ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে সুন্দর একটি দেশ পাব।

কিন্তু ইউনূস সাহেব উপদেষ্টা হয়ে আসার পর পাঁচ বছর ক্ষমতা ভোগের লক্ষ্য নিয়ে এনসিপিকেই প্রাধান্য দিলেন, দ্রব্যমূল্য বা আইন-শৃঙ্খলা কিছুই দেখলেন না। এর ফলে দেশ এখন ব্যর্থ রাষ্ট্র হওয়ার পথে। এভাবে চললে জনসমর্থন আবারও আওয়ামী লীগের দিকে ফিরে যেতে পারে।’

এমআর/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৬৫ বছরের পুরোনো রেকর্ড স্পর্শ করলেন রোনালদো Dec 28, 2025
সাদামাটা লুকে ভাইজান, ভক্তদের হৃদয় জয় Dec 28, 2025
নিজের কাজেই বিশ্বাসী ইমরান Dec 28, 2025
img
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে : সামান্তা শারমিন Dec 28, 2025
img
বিদায়ের পথে ২০২৫: বছরজুড়ে শ্রোতাদের মন মাতিয়েছে ১০ গান Dec 28, 2025
img
উত্তরায় ট্রেনের ধাক্কায় পোশাককর্মীর প্রাণহানি Dec 28, 2025
img
ক্যারিয়ার যেমন দায়িত্ব, তেমনই সংসার ও সন্তানের দেখাশোনাও কর্তব্য: কোয়েল মল্লিক Dec 28, 2025
img
তারেক রহমান ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন কিনবেন আজ Dec 28, 2025
img
আপত্তিকর ছবি ভাইরাল, আইনি পথে হাঁটলেন শিল্পা Dec 28, 2025
img

সৌদি প্রো লিগ

রোনালদোর জোড়া গোল, আল ওখুদকে ৩-০ গোলে হারাল আল নাসর Dec 28, 2025
img
যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে শুরু হলো জাতীয় নির্বাচনের ভোট Dec 28, 2025
img

ইংলিশ প্রিমিযার লিগ

ব্রাইটনকে ২-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করল আর্সেনাল Dec 28, 2025
img
চেলসিকে হারিয়ে ১১১ বছরের পুরোনো রেকর্ড গড়ল ভিলা Dec 28, 2025
img
জোতাকে স্মরণের ম্যাচে উইর্টজের দুর্দান্ত গোলে জয় লিভারপুলের Dec 28, 2025
img
শীতের দিনে পেট ভালো রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৫ খাবার Dec 28, 2025
img
বার বার করা ভুল অভ্যাসে পরিণত হয়: সালমান খান Dec 28, 2025
img
পদত্যাগ করলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান Dec 28, 2025
img
আজকের আবহাওয়া : ঢাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে Dec 28, 2025
img
শেষ ম্যাচে দুবাই ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটে হারাল সাকিবের এমআই এমিরেটস Dec 28, 2025
img

ঝিনাইদহ-৪

রাশেদের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফিরোজ Dec 28, 2025