স্বার্থ সংরক্ষণে দক্ষ বাণিজ্য আলোচক তৈরি অত্যন্ত জরুরি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখা, বাজার বৈচিত্র্যকরণ এবং ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য দক্ষ বাণিজ্য আলোচক তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।’

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ‘রিফ্লেকশন্স অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড : বিল্ডিং ন্যাশনাল ক্যাপাবিলিটিস ইন ট্রেড নেগোশিয়েশনস’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে তিনি একথা বলেন।
বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্য সুবিধা আদায়ে বাংলাদেশের অবস্থান যথেষ্ট শক্তিশালী নয় বলে মনে করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তার মতে, গুটিকয়েক রপ্তানি পণ্য নিয়ে দর-কষাকষি করা বেশ কঠিন।

প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘বাণিজ্যিক আলোচনা কোনোভাবেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয়। এর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন, বিশেষজ্ঞ দক্ষতা, নির্ভরযোগ্য জ্ঞান এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।’


বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ‘বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের বাণিজ্য আলোচক তৈরিতে সহযোগিতা করতে পেরে যুক্তরাজ্য গর্বিত। একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির পথে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, বাংলাদেশের উত্তরণ একটি ‘অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের আহ্বান’।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের উচিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কৌশলের একটি নতুন প্রজন্ম তৈরি করা, অনুকূল চুক্তি আলোচনা করা এবং বৈশ্বিক ফোরামে এর স্বার্থ রক্ষা করা। এই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দক্ষ এবং কৌশলগত বাণিজ্য আলোচকদের একটি দল, এবং আমি আনন্দিত যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এমন একটি দল গঠন করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান।

এ সময় নবগঠিত বাণিজ্য আলোচক দলের সদস্যদের সনদ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি শাখা) মো. আবদুর রহিম খান, বাংলাদেশে ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিক অ্যাডভাইজার ওয়াইস প্যারে এবং আরএপিআইডির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাকসহ আরও অনেকে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

নিজের কাজেই বিশ্বাসী ইমরান Dec 28, 2025
img
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে : সামান্তা শারমিন Dec 28, 2025
img
বিদায়ের পথে ২০২৫: বছরজুড়ে শ্রোতাদের মন মাতিয়েছে ১০ গান Dec 28, 2025
img
উত্তরায় ট্রেনের ধাক্কায় পোশাককর্মীর প্রাণহানি Dec 28, 2025
img
ক্যারিয়ার যেমন দায়িত্ব, তেমনই সংসার ও সন্তানের দেখাশোনাও কর্তব্য: কোয়েল মল্লিক Dec 28, 2025
img
তারেক রহমান ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন কিনবেন আজ Dec 28, 2025
img
আপত্তিকর ছবি ভাইরাল, আইনি পথে হাঁটলেন শিল্পা Dec 28, 2025
img

সৌদি প্রো লিগ

রোনালদোর জোড়া গোল, আল ওখুদকে ৩-০ গোলে হারাল আল নাসর Dec 28, 2025
img
যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে শুরু হলো জাতীয় নির্বাচনের ভোট Dec 28, 2025
img

ইংলিশ প্রিমিযার লিগ

ব্রাইটনকে ২-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করল আর্সেনাল Dec 28, 2025
img
চেলসিকে হারিয়ে ১১১ বছরের পুরোনো রেকর্ড গড়ল ভিলা Dec 28, 2025
img
জোতাকে স্মরণের ম্যাচে উইর্টজের দুর্দান্ত গোলে জয় লিভারপুলের Dec 28, 2025
img
শীতের দিনে পেট ভালো রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৫ খাবার Dec 28, 2025
img
বার বার করা ভুল অভ্যাসে পরিণত হয়: সালমান খান Dec 28, 2025
img
পদত্যাগ করলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান Dec 28, 2025
img
আজকের আবহাওয়া : ঢাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে Dec 28, 2025
img
শেষ ম্যাচে দুবাই ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটে হারাল সাকিবের এমআই এমিরেটস Dec 28, 2025
img

ঝিনাইদহ-৪

রাশেদের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফিরোজ Dec 28, 2025
img
বায়ু দূষণে শীর্ষে দিল্লি, দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা Dec 28, 2025
img
শেরপুরে টিসিবির পণ্য মজুত, আটক ২ Dec 28, 2025