চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য খসড়া আচরণবিধিমালা নিয়ে মতবিনিময়সভা আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। মত প্রকাশের সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে এ সভা বয়কট করেছে ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে মতবিনিময়সভা চলাকালে হট্টগোলের এক পর্যায়ে সভাস্থল ত্যাগ করে ছাত্রদল।
মতবিনিময়সভা বয়কট প্রসঙ্গে শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত মত প্রকাশের সুযোগ না দেওয়ায় এ সভা বয়কট করছি। চাকসু নির্বাচনে ওদের চিন্তাধারা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। আমাদের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তাদের কথা শুনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘চাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র করে, ওরা যদি শিক্ষার্থীদের কথা না শুনে তাহলে এই মতবিনিময় সবার মানে হয় না।’
ছাত্রদলের মতবিনিময় সভা বর্জন প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন দেশের একটি গণমাধ্যমকেকে বলেন, আজকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আচরণবিধি নিয়ে মতবিনিময় সভা করি। তবে আজকে আমাদের আরো একটা প্রোগ্রাম থাকাই ২টার দিকে শেষ করতে হয়।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জানিয়েছি তাদের মতামত থাকলে লিখিতভাবে আমাদেরকে দিতে পারে। আমরা এমন না যে সুযোগ দিইনি, আমরা প্রায় ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থীকে মতামত দেওয়ার সুযোগ দিয়েছি। পরবর্তী আবারো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসব। নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘ভোট দেওয়া ছাড়া প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, আমরা নির্বাচন পরিচালনা করার সময় দল-মত-নির্বিশেষে কাজ করে যাব।’
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এ কে এম. আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রার্থীদের ক্ষেত্রে চাকসু নির্বাচনের জন্য ৩০০ টাকা এবং হল সংসদের জন্য ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ছেলে ও মেয়ে প্রার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রঙের মনোনয়ন দেওয়া হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ডোপটেস্টের ফলাফলসহ ফরম জমা দিতে হবে। ১৪টা কেন্দ্রের বাইরে ১৪টা এলইডি মনিটরে ভোটকেন্দ্র দেখার সুযোগ থাকবে।’
চাকসুর প্রার্থীদের আচরণবিধি বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রার্থী অনুদান দিতে পারবে না। একই সঙ্গে কাউকে খাওয়ানো বা বকশিস দেওয়াও যাবে না। ভোটকেন্দ্রের বুথে ভোটার ছাড়া নির্বাচন কমিশনারও যেতে পারবে না। ভোটার চলাকালে কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ২০ হাজার টাকা জমিমানা করা হবে।’
মতবিনিময়সভায় শিক্ষার্থী কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন। এ দাবিগুলো হলো—অনলাইনে রঙিন লিফলেট নিয়ে প্রচার করা, নির্বাচন প্রচারণার ক্ষেত্রে ব্যানারে প্যানেলের সবার ছবি দেওয়া, চাকসু নির্বাচনে সাইবার বুলিং রোধে আইটি সেল গঠন, ডোপ টেস্টের ক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষা করা, সভা-সমাবেশে মাইক ব্যবহার ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ।
ইউটি/টিএ