চট্টগ্রামে দেড় যুগ ধরে দুটি সরকারি চাকরি করছিলেন রফিকুল

রফিকুল ইসলাম (৪৩)। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চুন্নাপাড়ার আব্দুল সাত্তারের ছেলে। গত দেড় যুগ ধরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও একটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। যদিও সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একই ব্যক্তি দুই জায়গায় চাকরি করতে পারেন না।

একই সঙ্গে সরকারি দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার অভিযোগে রোববার দুপুর ১২টায় নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক সমন্বিত কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর উপ সহকারী পরিচালক জাফের সাদেক শিবলী এ তথ্য জানিয়ে বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

জাফের সাদেক শিবলী বলেন, রফিকুল ইসলাম গত দেড় যুগ ধরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও একটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একই ব্যক্তি দুই জায়গায় চাকরি করতে পারেন না। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদে কর্মরত দেখিয়ে অবৈধভাবে বেতনভাতা বাবদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। যেটি ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম ২০০০ সালের ২৯ অক্টোবর লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নে সচিব হিসেবে যোগদান করেন। ২০০১ সালের ২৯ আগস্ট তিনি সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন আনোয়ারা উপজেলার সরস্বতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখানে দুই বছর চাকরি করার পর ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। তার আগে একই বছরের ২৩ জানুয়ারি আনোয়ারা উপজেলার দক্ষিণ জুইদণ্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরে একই উপজেলার উত্তর বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে বদলি হয়ে বর্তমানেও সেখানে তিনি কর্মরত রয়েছেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: