ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় ইউরোপের তিন দেশকে (ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি) সতর্ক করে বলেছেন, তারা যদি ‘স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম’ সক্রিয় করে, তাহলে নিজেদের শেষ কার্ডটিও হারাবে। এই তিন দেশকে সংক্ষেপে বলে ই-থ্রি।
তিনি তার পোস্টে লেখেন, “ই-থ্রির ‘স্ন্যাপব্যাক’ সক্রিয় করার কোনো আইনি, রাজনৈতিক বা নৈতিক অধিকার নেই; বরং তারা যদি করেও, ‘ব্যবহার করো না হারাও’ এই নীতি এখানে চলে না।”
আরাঘচি জোর দিয়ে বলেন: “ইথ্রির এই পরিস্থিতির সঠিক ব্যাখ্যা হলো, ‘ব্যবহার করো এবং হারাও’। বরং আরও স্পষ্ট করে বললে, ‘ব্যবহার করো আর সবকিছু হারাও।’”
উল্লেখ্য, “স্ন্যাপব্যাক” মেকানিজমটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২২৩১-এর আওতায় ২০১৫ সালের যৌথ বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে চালু হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যদি মনে করা হয় যে, ইরান চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে, তাহলে চুক্তির সদস্য রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘের পূর্ববর্তী নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বহাল করতে পারে।
তবে তেহরানের অবস্থান হলো, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি ইতোমধ্যে নিজেরাই চুক্তির অধীনে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে।
ইরান দাবি করে, যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে একতরফাভাবে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর স্ন্যাপব্যাক ব্যবহারের কোনো অধিকার হারিয়েছে এবং ইউরোপীয় দেশগুলোও যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে, তাই তারাও তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
ইরানি কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেন, স্ন্যাপব্যাক ব্যবস্থার অপব্যবহার কেবল আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে অকার্যকরই নয়, বরং এটি ইউরোপকে আরও একঘরে করে দেবে এবং প্রমাণ করে দেবে যে পশ্চিমা দেশগুলোর আন্তর্জাতিক চুক্তি রক্ষা করার ওপর কোনো ভরসা রাখা যায় না।
সূত্র: মেহের নিউজ
এমকে/এসএন